একটা সময় নিজেও প্রবাস জীবনে থেকে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন। দেশে এসে যে যেখান দিয়ে জায়গা বিক্রি করবে অন্যজনকে সুযোগ না দিয়ে বেশী দামে ক্রয় করাই যেন তার নেশা। এভাবে গত এক যুগের উপরে নিজ বাড়ী থেকে শুরু করে পাশ্ববর্তী এলাকায় গড়ে তোলেন একাধিক ঘর বাড়ী।
অর্থের গরমে বিয়েও করেছেন একাধিক। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে দিয়ে দেন মিথ্যা, তুচ্ছ ও বিরক্তিকর মামলা। তারই বাস্তবতায় এবার কাতার প্রবাসী সাখাওয়াত হোসেন ও সৌদি প্রবাসী জসিম উদ্দিনের বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠে।
অভিযুক্ত এ ব্যক্তি হচ্ছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চালিয়াপাড়ার মৃত ছলেমান কাজীর ছেলে মো. বাচ্চু কাজী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চালিয়াপাড়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে কাতার প্রবাসী সাখাওয়াত হোসেন ও হোসেন কাজীর ছেলে সৌদি প্রবাসী জসিমউদ্দিন দেশে আগে পরে ছুটিতে আসেন। পূর্বপুরুষের নিজ বাড়ীতে এসে দেখেন তাদের সাথে এলাকার ভূমিদস্যু বাচ্চু কাজীর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বাচ্চু কাজীর দাদা মোহাম্মদ কাজীর নামে ভুলবসত এ ভুক্তভোগী প্রবাসী পরিবারের জায়গা নাম উঠে। এতে রেকর্ড সংশোধনীর মামলা চলমান রয়েছে। বাচ্চু কাজী সম্পদের লোভে পড়ে চলতি বছরের শুরুতে এ দুই প্রবাসী যেন বিদেশ যেতে না পারে এ জন্য চাঁদপুর আদালতে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ২৬/২০২৩।
এ বিষয়ে আদালত ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই সাথে স্থানীয় সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনকে সরেজমিন তদন্ত করার নির্দেশ দেন। মামলার সাথে বাস্তবতার কোন মিল না পেয়ে চেয়ারম্যান একটি লিখিত প্রতিবেদন ভুক্তভোগী দুই প্রবাসীর পক্ষে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ বাচ্চু ইতিপূর্বে একাধিক মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এখন আমি ও আমার বাড়ীর প্রবাসী জসিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে যেন আমরা বিদেশ যেতে না পারি। চেয়ারম্যান মেম্বার তদন্ত করে বাচ্চুর সাথে আমাদের কোন মারামারির ঘটনা প্রমাণ পায়নি। তার টাকা আর ক্ষমতার কাছে আমরা অসহায়। তাই এ ভুমিদস্যুর বিরুদ্ধে যেন প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেয় এ জোড় দাবি জানাই।
এ বিষয়ে বাচ্চু কাজী বলেন, তারা আমার আগে বিদেশ করেনি, কত টাকার মালিক হয়েছে তা আমি দেখবো। এ মামলার বাহিরে আরো মামলা আছে, প্রয়োজনে ভিন্ন ধাপে এগিয়ে যাবো তার পরেও সর্বশেষ দেখে নেবো।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩