বিদেশে সরকারের হয়ে তদবির করার জন্য কোনো ‘লবিস্ট’ নেই বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে দেশটির কিছু কংগ্রেস সদস্যের এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ছয় ইউরোপীয় এমপির বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে দেওয়া চিঠি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লবিস্ট নেই। আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি।’
বিরোধী দল বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে মোমেন দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘কীভাবে জ্বালানি আনা যাবে, বিনিয়োগ কীভাবে বাড়বে, সে জন্য লবিস্ট নিয়োগ করুন।’
যারা বিরোধী দলে আছেন, দেশটা তাঁদেরও—এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘দেশকে ধ্বংস করে লাভ নাই। কারণ এটাতে সবার ক্ষতি।’
মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের ‘অপরিপক্ব হাতে লেখা’ চিঠিতে কিছু তথ্যের গরমিল আছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছে, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ৬০ ভাগ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। খ্রিষ্টানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এগুলো সত্যি নয়।’
এসব চিঠি নিয়ে সরকার প্রতিবাদ জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যারা চিঠি চালাচালি করেছে, এটা তাদের মাথাব্যথা, সরকারের নয়।’
আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেলে বাংলাদেশ ব্রিকসে যোগ দেবে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত, রাশিয়া, চীন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় ৮টি নতুন দেশকে জোটটির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কথা চলছে বলে জানান আব্দুল মোমেন।
উল্লেখ্য, গত বছর সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বেশ তোলপাড় শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি সাংবাদিকদের কাছে এর ব্যাখ্যা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুড গভর্নেন্স ও দেশের ইতিবাচক ইমেজগুলো তুলে ধরার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। আর বিএনপি দেশের ক্ষতি করার জন্য বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। লবিস্ট নিয়োগ করা আইন বিরোধী নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
টাইমস ডেস্ক/২০ জুন ২০২৩