স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো বিদেশির কথায় সংলাপ হবে না। সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে পূর্বাণী হোটেলের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। সত্যিকারের আন্দোলন আর কোনো দিন দেশে হবে না। বোমা মেরে মানুষ খুন করে তিনি আন্দোলনের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন।’
তিনি বলেন,‘এমন হরতাল-অবরোধ বাংলার মানুষ আর কোনো দিন দেখেনি। যদি হরতাল এরকম হয়, তাহলে আমরাও কোনো দিন আর সত্যিকারের হরতাল করতে পারব না।’
নাসিম বলেন, ‘পেট্রোল বোমা মেরে মানুষকে খুন করে কারো মন জয় করা যায় না। দুঃখ লাগে, বেগম জিয়া একদিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন। জনগণের নেত্রী ছিলেন। আর এখন জঙ্গির নেত্রী, বোমাবাজদের নেত্রী, শ্রমিকদের পেটে লাথি মারার নেত্রী হয়ে গেছেন।’
‘বিএনপি এখন আন্ডার গ্রাউন্ড দল হয়ে গেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে কাঁটাতারের ব্যারিকেড ছিল। সেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা আন্দোলন করেছে। পুলিশের মার খেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করলে পুলিশ কি ফুল দিয়ে বরণ করবে? আন্দোলন করলে মার তো খেতেই হবে।’
নাসিম বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে পালিয়ে থেকে আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে বিবৃতি দিচ্ছে। আর মানুষ পুড়িয়ে মারছে।’
সাদেক হোসেন খোকা এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার টেলিফোনের কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘টেলিফোনে কথোপকথনের পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ পড়েছে। জঙ্গিরাই অভিজিতকে হত্যা করেছে।’
হরতাল-অবরোধ বন্ধ হয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘এখনও সময় আছে, বের হয়ে দেখেন। হরতাল আছে কি না। আপনার তথাকথিত অবরোধ হচ্ছে কি না। মাথা ঠাণ্ডা করেন। এখনো চার বছর সময় আছে। প্রস্তুত হন, ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।