সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার কেবল আইন কার্যকর করেছে। কাজেই এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। যারা বিভ্রান্তি ছড়াবে, সরকারকে বিব্রত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী স্পষ্ট করেন, ‘বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি। করতেও বলেনি। সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্লিন ফিডে চ্যানেল সম্প্রচারিত হয়। বাংলাদেশেও এটি করতে হবে। এটি একটি আইন। আমরা সেটিই কার্যকর করেছি মাত্র।’
আগামী ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সব ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমকে শতভাগ ডিজিটালাইজ হয়ে সম্প্রচার করতে হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় ক্যাবল ওপারেটরদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বের ২৪টি টিভি চ্যানেল ক্লিন ফিড অনুষ্ঠান চালাচ্ছে। এগুলো সম্প্রচারে কোনো বাধা নেই। যদি ক্লিন ফিডমুক্ত অনুষ্ঠানগুলো না চালান, তবে আপনাদের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হবে। লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে কোনো প্রকার বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। সবার স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে সরকারকে সহযোগিতা করুন।’
তথ্যমন্ত্রী এ বক্তব্য দেওয়ার সময় তথ্য সচিব মকবুল হোসেন, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মোজাম্মেল বাবু, কাজী জাহিদুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত শুক্রবার ভোর থেকে দেশে বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি কোনো টিভি চ্যানেল দেশে সম্প্রচার করা যাবে না— সরকারের এমন নির্দেশনায় কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এসব চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। তবে দেশে-বিদেশি চ্যানেল প্রচার বন্ধ থাকা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো জানিয়েছে, বিদেশি চ্যানেলগুলোর দেশে ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপনমুক্ত) প্রচার না করায় দেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন ও সরকারের রাজস্ব ক্ষতি বছরে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা।