খেলাধুলা

বিদায়বেলায় লজ্জার হার চিটাগংয়ের

বিপিএল থেকে বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল চিটাগং ভাইকিংসের। আজ সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটা ছিল নিছকই নিয়ম রক্ষার। আর সেখানে ভয়াবহ বাজে নৈপুণ্য দেখিয়ে সমালোচনা কুড়ালেন সৌম্য সরকার, লুক রনকিরা। মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হওয়ার পর চিটাগং ম্যাচটি হেরেছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

হারতে হারতে জয়ের পথই ভুলে গেছে চিটাগং কিংস। দলের ব্যাটসম্যানরাও ভুলে গেছেন কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়! পুরো আসরে নিয়মিত খারাপ করা দলটি শেষ পর্বেও তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে মাত্র ৬৭ রানে অলআাউট হয়ে গেছে চিটাগং ভাইকিংস। এবারের আসরে এটিই সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।

৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেটই হারায়নি সিলেট সিক্সার্স। খেলতে হয়েছে মাত্র ১১.১ ওভার। সিলেটের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আন্দ্রে ফ্লেচার চিটাগংয়ের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি। রিজওয়ান ৩৬ ও ফ্লেচার ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে গেছে চিটাগং ভাইকিংস। নাসির হোসেনের ঘূর্ণির সামনে বিভ্রান্ত হয়েছেন পাঁচ ভাইকিংস ব্যাটসম্যান।

ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই পথ হারায় চিটাগং। নাসির হোসেনের করা প্রথম ওভারে ফিরে যান লুক রঞ্চি ও সৌম্য সরকার। চিটাগংয়ের তৃতীয় ওভারে আবার আঘাত হানেন নাসির। ফিরিয়ে দেন লুইস রিসকে। পরের ওভারে সিকান্দার রাজাকে ফেরান শরিফুল্লাহ। ৪৫ রানের মধ্যে তানভীর হায়দার ও স্টিয়ান ভ্যান জাইলকে ফিরিয়ে চিটাগংকে খাদের কিনারে নামিয়ে দেন নাসির। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন এই স্পিনার।

এরপর নাবিল সামাদ ও শরিফুল্লাহ মিলে গুটিয়ে দেন চিটাগং ভাইকিংসকে। নাবিল তিনটি ও শরিফুল্লাহ নেন বাকি দুটি উইকেট।

চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের এই জয় দিয়ে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে সিলেট। নাসিরদের শেষ ম্যাচটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। সেই ম্যাচটাও যদি জিততে পারে দলটি, তাহলে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকে থাকবে। তবে আবশ্যিক শর্ত হিসেবে শেষ দুটি ম্যাচেই হারতে হবে রংপুর রাইডার্সকে।

নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:৩০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
এএস

Share