চাঁদপুর

বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে জেলা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলা কার্যক্রম

বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় আইনীসেবা পৌছে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলা কার্যক্রম। সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলা জুড়ে চালু হয়েছে বিট পুলিশিং।

এরইমধ্যে পুরো জেলায় ১১৪ টি বিট পুলিশিংয়ের স্থায়ী ও অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ। আর এই বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তাদের হাতের নাগালে আইনীসেবা পাবেন।

জানা যায়,বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা আরো গতিশীল করতে কয়েক বছর আগে থেকেই সারা দেশ জুড়ে বিট পুলিশিং চালু করা হয়। সেটির কার্যক্রম এতদিন কিছুটা ধীর গতিতে চললেও নতুন আইজিপি বেনজির আহমেদ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরো গীতিশীল ভাবে চালু করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে চাঁদপুর জেলা এবং বিভিন্ন উপজেলায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়।

এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ১৯ টি এবং বাকিগুলো বিভিন্ন উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে। নভেম্বর মাসের মাঝা মাঝিতে চাঁদপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে এ বিট পুলিশিংয়ের স্থায়ী ও অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিন্ধা সরকার সহ চাঁদপুর সদর মডেল থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগন।

প্রত্যেকটি বিট পুলিশিংয়ে একটি করে কার্যালয়,একজন করে বিট অফিসার, এবং অভিযোগ রেজিষ্ট্রার খাতা থাকবে বলে জানা গেছে। যেখানে সাধারণ মানুষ আইনীসেবা পেতে খুব সহজেই তাদের অভিযোগ তুলে ধরতে পারবেন। পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি বিট পুলিশিংয়ে সংযুক্ত রয়েছে কমিউনিটি পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিগনও।

যেকোন এলাকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের তথ্য বিট পুলিশিংয়ে জানাবেন জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষরাও যেকোন অপরাধের কথা জানাতে পারবেন।

বিট পুলিশিংয়ের কারনে একদিকে যেমন সাধারণ জনগন খুব সহজেই হাতের নাগালে আইনীসেবাপাবে, অন্যদিকে জেলা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলা কার্যক্রমও অনেক প্রসারিত হবে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিন্ধা সরকারের চাঁদপুর টাইমসকে জানান,পুলিশিংয়ে যেসব কমিউনিটি পুলিশ কাজ করবে তাদের মাধ্যমে আমরা যে কোন তথ্য পাবো এবং তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবো। যারাই বিট পুলিশিংয়ে কাজ করবে, তারা প্রত্যেকেই পুলিশি কাঠামোর মধ্যে থেকে আইনি সহযোগিতায় কাজ করবে। তাদের মাধ্যমে ছোট খাটো যেকোনো অপরাধমূলক ঘটনা আমরা জানতে পারবো এবং কোন প্রকার অপরাধমূলক ঘটনা তখন আইনের বাইরে থাকবে না।

তিনি বলেন প্রত্যেক ভিটে একটি করে কার্যালয় থাকবে এবং অভিযোগ রেজিস্ট্রার থাকবে। ওই রেজিষ্ট্রার খাতায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হবে। বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সকলের সহযোগিতায় চাঁদপুরের আইন-শৃঙ্খলাকে আমরা আরো অনেক দূর এগিয়ে নিবো।

প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৫ ডিসেম্বর ২০২০

Share