চাঁদপুর

চাঁদপুরে বিটিসিএলের গাফলতিতে মন্ত্রী-পরিষদের সাথে সংযোগ পাননি জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর বিটিসিএলের ক্রটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা ও গাফলতিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সভা দেখতে পারেনি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে দেশের প্রত্যেক জেলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় ও আইশৃংঙ্খলা সভাগুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রীপরিষদকে দেখার কথা। শুধু তাই নয় এতে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনারও।

যার ফলে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি মাসিক সভাটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রীপরিষদের সাথে সংযোগ থাকার কথা ছিলো। কিন্তু বিটিসিএল- এর ক্রটিপূর্ন ব্যবস্থার কারণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভার সাথে সংযোগ পায়নি মন্ত্রীপরিষদ। ‘কেন এই ক্রটি’ তা জেলা প্রশাসক বিটিসিল প্রতিনিধি প্রকৌশলী আঃ মালেক সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।

এতে জেলা প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নানা রকম অনিয়মের কারণে এই সেক্টরটি আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। সরকার ইতোমধ্যে সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে কাজ করছে। আজকের এই সভায় মন্ত্রীপরিষদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের কথা বলার কথা ছিলো। অথচ আপনাদের ব্যর্থতায় তা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল’র কর্মকর্তারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলে প্রচুর পরিশ্রম করতে পারে। অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকলে অলসতা দেখায়। এটা অত্যান্ত দুঃখজনক একটা বিষয়।

আরও পড়ুন : চাঁদপুরে বিটিসিএল’র দায়িত্বে কে আছেন তা জানে না জেলা প্রশাসন, সভায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ !

এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুৎফর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাঁদপুরে বিটিসিএল’র প্রধান কে? আমরা জানি না!, এখানকার দায়িত্বে কে আছে? কার সাথে আমরা যোগাযোগ করবো তাও এখনো জানতে পারিনি। যে কোনো ব্যপারে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার কথা বলে।’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশ্রাফুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের অফিসে বেশ কিছুদিন ধরে বিটিসিএল’র সংযোগ নেই। অথচ এ ব্যপারের কর্তৃপক্ষের সাথে প্রায় ১৫ বার যোগাযোগ করেও কোনো সহযোগিতা পাইনি। এখনো পর্যন্ত সমস্যা সমাধান করতে কোন কর্মকর্তা আসেননি।’

প্রসঙ্গত, চাঁদপুর ল্যান্ডফোনের সাথে অনেকেই টিএন্ডটি (বিটিসিএলের) ইন্টারনেট সংযোগ নিয়েছেন, মাসিক হারে বিলও দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু প্রায় সময়ই লাইনটি বন্ধ থাকে, তাদের নিজস্ব ০২ তে ফোন দিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায় না।

আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট

Share