তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্প-৩ এর আওতায় নগর পরিচালন উন্নতিকরণ কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাঁদপুর পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটির (টিএলসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ নভেম্বর বুধবার বিকেলে চাঁদপুর পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল।
মেয়র বলেন, ‘চাঁদপুর শহরকে নান্দনিক করে গড়ে তুলবার জন্যে আমরা পরিকল্পনানুসারে কাজ করবো। যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে সব দিক বিবেচনা করে করা হবে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বরটি ভেঙে ফেলা হবে। এখানে নামের সাথে মিল রেখে আরো দৃষ্টিনন্দন একটি চত্বর করা হবে। যা অবশ্যই আরো সুন্দর হবে। ইতিমধ্যে ডিজাইন করা হয়ে গেছে। বর্তমান শপথ চত্বরটি নামের সাথে বাস্তাবের মিল নেই। তাছাড়াও এটি বিশাল জায়গা জুড়ে করার কারণে এক পাশ থোকে অন্য পাশের যানবাহন দেখা যায় না। এর পরিসর কমিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি চাঁদপুরের অঙ্গিকার স্মৃতিসৌধের সংস্কার করা হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়,রেলমন্ত্রীকে চাঁদপুরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা রেলমন্ত্রীর সাথে নাগরীক মতবিনিময় সভা করবো। সেখানে প্রস্তাব আকারে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরবো। বর্তমানে শহরের প্রাণকেন্দ্রে যে রেলওয়ে মার্কেট রয়েছে, সেটি পূর্বপাশে নেয়ার প্রস্তাব করবো। এতে মূল শহরের রাস্তাটি আরো প্রশস্ত হবে এবং শহরের চিত্র অনেকটাই পাল্টে যাবে। এর পাশাপাশি খালগুলোকে দখলমুক্ত করে সংস্কার করা হবে।
পৌর মেয়র বলেন, চাঁদপুর শহরের হাসান আলী স্কুল মাঠে আর বিজয় মেলা হবে না। শহরের প্রাণকেন্দ্রে দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই মেলাটি যানজট সৃষ্টি করে। ১২ মাসের মধ্যে ১ মাস মেলা চলে। তাই এবছর থেকে বিজয় মেলা হবে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে। সেখানে আরো বড় পরিসরে বিজয় মেলা করা হবে। আমরা পৌরসভার উদ্যোগে চাঁদপুরে একটি একুশ মঞ্চ করবো। সেটিই মুক্ত মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। সেখানে টয়লেট, গ্রীণ রুম, সাউন্ড সিস্টেমসহ সকল ব্যবস্থা থাকবে। যাতে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো বিনা পয়সায় তাদের কার্যক্রম করতে পারবে।
মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, পৌরসভার অর্থায়নে চাঁদপুর শহরে ৪টি পাবলিক টয়লেট করা হবে। এর মধ্যে যথাক্রমে পুরাণবাজার মেয়র রোড়ের মাথায়, বাবুরহাট এলাকায়, ওয়ারল্যাছ মোড় এবং পালবাজার ব্রিজের মাথায়। এই টয়লেটগুলে হবে অনেক বেশি উন্নত এবং অধুনিক হবে। এরপর আরো কিছু পাবলিক টয়লেট করা হবে। বঙ্গবন্ধুর সড়কের দক্ষিণ পাশেও একই সমান্তরালে আরেকটি নতুন রাস্তা করা হবে। যা মৈশাদী পর্যন্ত নেয়া হবে। চাঁদপুর শহর থেকে বাবুরহাট পর্যন্ত একটা রাস্তা করার চিন্তা করছি। এই রাস্তাটি করতে হলে পৌরসভার অর্থায়নে জায়গা কিনতে হবে। আমরা অর্থ যোগানের চিন্তা করছি।
পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মফিজউদ্দিন হালদারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, পৌরভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া, চাঁদপুর আত্মনিবেদিত মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মুজিবুর রহমান ভুইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাকি, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. হেলাল হোস্ইন, সংগীতশিল্পী রুপালী চম্পক, নারী উদ্যোগতা মুনিরা আক্তা, মুক্তা পীযূষ প্রমুখ।
এসময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র সহ সকল কাউন্সিলর ও নগর সমন্বয় কমিটির (টিএলসিসি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১৭ নভেম্বর ২০২১