চাঁদপুর

বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরের ৫ পৌর নির্বাচন : আটক ৪

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, কচুয়া ও মতলব পৌরসভায় নির্বাচনকালীন সংঘর্ষে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রায় ৩৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। গুলিবিদ্ধ হয় ১ জন। আটক হয় ৪ জন। আটককৃতরা হলেন রাশেদ (২৫), সোহেল (৩০), শামীম (২৯) ও সোহাগ (২৫)।

আটক ৪ জনকে ৬ মাসের কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুরের সহকারী কমিশনার মোস্তান বিল্লাহ।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা যায়, এসময় মতলব পৌরসভার মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। ফরিদগঞ্জেও ১ টি কেন্দ্রে স্থগিত পুনরায় শেষ সময়ে এসে চালু করা হয়।

এছাড়া মতলব পৌরসভার বাইশপুর ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইকালে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে ১জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় কাছিয়ারা ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইকালে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোতাহের হোসেনসহ ৯ জন আহত হয়।

হাজীগঞ্জ পৌরসভায় আমিন মেমোরিয়াল ব্যালট পেপাই ছিনতাইকালে কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

কচুয়া পৌরসভা শাহ নেয়ামত শাহ ভোটকেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়।

মতলব পৌরসভার রিটার্র্নিং অফিসার ফারহানা ইসলাম গুলি বর্ষণের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সুষ্ঠ ভোটগ্রহণের স্বার্থে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে।’

চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, ‘আমরা আজ চাঁদপুর জেলায় যে কোনো সময় যে কোনো অনাকাংখিত পরিস্থিতি এড়াতে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ ব্যাপরে আমরা কোনো ছাড় দেইনি।’

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট : ।। আপডেট : ০৬:২০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার

ডিএইচ

Share