বিজয় দিবসে চাঁদপুর জেলা পরিষদের আলোচনা সভা ও দোয়া

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী বিজয় উল্লাস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পরিষদের উদ্যেগে যথাযোগ্য মর্যাদায় সুবর্ণ জয়ন্তী ৫০ বছর মহান বিজয় দিবস উদযাপন কর্মসূচি ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারীর নেতৃত্বে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

সকাল ১১টার দিকে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধে শহীদদের স্বরনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের বলিষ্ট নেতৃত্বে ৯ মাস যুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেন বাংলার শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানরা মুক্তিযোদ্ধারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা, তাঁর প্রজ্ঞা এবং অসাধারণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের দক্ষতার কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে যে কয়জন সংগ্রামী নেতাদের আমরা দেখতে পাই, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।

বঙ্গবন্ধু এই দেশটাকে অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত পঁচাত্তরের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি সোনার বাংলা বলতে ব্যাপক অর্থে উন্নয়ন বুঝিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এটা জানতেন এবং বিশ্বাস করতেন, এই দেশের মানুষ খুবই সহজ সরল। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের মধ্যদিয়ে একটি উন্নত জাতি গঠনের কনসেপ্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাতে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশকে পিছনের দিকে টেনে নেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অনেক স্বপ্নকে আজ বাস্তবে রূপ দিয়েছে। আজ পদ্মা সেতু হচ্ছে, মেট্টো রেল হচ্ছে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী ট্যানেল হচ্ছে। বাংলাদেশ ডিজিটালী অনেক এগিয়েছে এবং আরো অনেক এগিয়ে যাবে।

বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় জেলা পরিষদের পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ জসীম উদ্দিন পাটওয়ারী, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী, মুকবুল আহমেদ মিয়াজী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক পারভেজ করিম বাবু, 

জেলা ছাত্ররীগের সাবেক সহ সভাপতি হাসিব পাটওয়ারী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান পরান, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ বোরহান, খান আতাউর রহমানসহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগের অনান্য নেতৃবৃন্দ।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১

Share