সাতক্ষীরা প্রতিনিধি | আপডেট: ০৯:৩৪ অপরাহ্ণ, ১৯ আগস্ট ২০১৫, বুধবার
এবার এক বিচারিক হাকিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিচারিক হাকিম সাতক্ষীরা জজ কোর্টের দেবহাটা আদালতের দায়িত্বে রয়েছেন।
বিচারিক হাকিম নুরুল ইসলামের শহরের পলাশপালস্থ ভাড়া বাসা থেকে নির্যাতিত দশ বছর বয়সী কাজের শিশুকে পুলিশ মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির নাম বিথী। সে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বড় আমিনীয়া গ্রামের গোলাম রসুলের মেয়ে।
সাতক্ষীরার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ জানান, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদে তারা জানতে পারেন, গৃহকর্তা ও সাতক্ষীরা আদালতের বিচারিক হাকিম নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাতাশা তাদের বাসায় থাকা কাজের শিশুটিকে প্রায়শই নির্যাতন করত।
বুধবার দুপুরেও মেয়েটিকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালান। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে তারা বাসার দরজা খোলেননি।
পরে মুখ্য বিচারিক হাকিম নিতাই চন্দ্র সাহা ও জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিমুল কুমার বিশ্বাস আসার পর পুলিশ ওই বাসায় ঢুকে মেয়েটিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মেয়েটির মাথার চুল কাটা ছিল এবং হাতে, পিটে ও নিতম্বে আগুনে পোড়ানসহ একাধিক স্থানে ক্ষত দেখতে পান সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মূখ্য বিচারিক হাকিম নিতাই চন্দ্র সাহা সেখানে থেকে হাসপাতালেও যান। তিনি এধরনের ঘটনা অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে বলেন, শিশুটির সব ধরনের আইনী সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক পরিমল কুমার বিশ্বাস জানান, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কল করা হয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫