৭০-৮০ দশকের রাজপথের সংগ্রামী ছাত্রনেতা পরবর্তীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিবেদিত কর্মী তোফায়েল আহম্মদ বাহার পাটওয়ারী। তার দুটি কিডনিই বিকল হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন মৃত্যু শয্যায়।
দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তোফায়েল আহম্মদ বাহার পাটওয়ারী। এতদিন পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা করে আসলেও বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। সাবেক এই ছাত্র নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাঁচার আকুতি নিয়ে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান তোফায়েল আহম্মদ বাহার পাটওয়ারী। ১৯৭৮-৮১ পরবর্তীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নিবেদিত কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি।
চিকিৎসা পরিচালনা করতে গিয়ে পরিবার নিজের সহায় সম্বল ও আত্মীয়স্বজনের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত দুই বছর আগে থেকেই তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব কিডনি প্রতিস্থাপন করা। এখন প্রতি সপ্তাহে ডায়ালিসিস করাতে হয়। যেখানে প্রায় ৯-১০ হাজার টাকা লাগে। মাসে সর্বনিম্ন ৪ বার ডায়ালিসিস করতে হয়। প্রতি মাসে ৪০-৪৫ হাজার টাকা চলে যাচ্ছে ডায়ালিসিস করাতে। তার পরিবারের পক্ষে এ খরচ করা এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তোফায়েল আহম্মদ বাহার পাটওয়ারী জানান, এখন আমার সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। আমি একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। বর্তমানে আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলা গুপ্টি (পূর্ব) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। আমি কখনো দলীয় পরিচয় ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করিনি, অন্যায়ের সাথে আপস ও করিনি।
তিনি বলেন, আমার পরিবার ও আমি দলের জন্য তৃণমূল থেকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এসেছি। তাই আমি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করছি- ‘আমি বাঁচতে চাই। আমার একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে বাঁচাতে আপনার একান্ত দোয়া ও সাহায্য-সহযোগিতা প্রত্যাশী।’
তোফায়েল আহম্মদ বাহার পাটওয়ারী জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন; যা আমার পরিবারের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়।
ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেট, ২০ ফেব্রুযারি ২০২১