দীর্ঘ ১০ বছরে বিপর্যস্ত বিএনপি হঠাৎ করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সর্বত্রই এই চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। নেতানেত্রীদের বক্তব্যেও দৃঢ় মনোবল লক্ষ্যণীয়। কিছু দিন আগেও যেখানে বিএনপি নেতা-নেত্রীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন সেখানে আজ বেশ দৃঢ় মনোবল নিয়ে রাজনীতির মাঠে। ফলে এবার ঈদে নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে তেমিন খোশমেজাজে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক দশকের মধ্যে এবার কিছুটা হলেও স্বস্তির মধ্যে তারা ঈদ করতে পারছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও এবার কিছুটা হলেও বাড়িঘরে ফিরে ঈদ করতে পারবেন বলে আশা করছেন নেতারা। এছাড়া গত ১০ বছরে বিএনপির ভঙ্গুর দশা ছিল সেখান থেকে দলকে টেনে তুলে বেশ গণমুখী করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
অন্যদিকে বিগত দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার এবং নির্যাতিত পরিবারকে এবার আগেভাগেই ঈদ দিয়েছেন উপহার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবমিলেই বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সবাই এখন আন্দোলনমুখী। এর ফলে বিএনপি নেত্রীর মনে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস জন্মেছে যে আগামী দিনে যেকোনো আন্দোলনের ডাক দিলে ভালভাবেই সফল করা সম্ভব। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন করাও সম্ভব হবে।
এছাড়া বিএনপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঈদের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গেলেও সেখানে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হতে পারে বেগম জিয়ার। এসব দিক বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়া বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, রমজানজুড়েই বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো নেতাকর্মীদের মনে আশার সঞ্চার করেছেন নেত্রী। ওই সব বক্তব্য বিবৃতি যেমনটি দলকে চাঙ্গা করেছে তেমনি শক্ত জবাব দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের। সবমিলেই রাজনীতিতে একটা বড় ধরনের ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন বেগম জিয়া। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে বেশ খোশমেজাজেই রয়েছেন তিনি।
ফলে এবারের ঈদ হবে একটু ভিন্ন আমেজের। অন্যান্য বছর রাজনীতিতে হানাহানি ও ধরপাকড় থাকলেও এবার তুলনামূলক কম। বলা যায় অনেকটাই স্থিতিশীল। এতে অনেক নেতাকর্মীই বাড়িঘরে ফিরেছে। এদিকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢেউ লাগায় এবার ঈদ অনেকটা রূপ নিয়েছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজে।
কিন্তু কোনো পক্ষই এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বর্তমান ও সাবেক এমপি-মন্ত্রীরা ছুটছেন নিজ নিজ এলাকায়। শুধু এমপি-মন্ত্রীরাই নন, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই এবার ঈদ উদযাপন করবেন গ্রামে। অনেকে ইতিমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছেন। তাদের পদচারণায় বেশ জমে উঠেছে ঈদ রাজনীতি। যাকাতের অর্থ-বস্ত্র, চাল, চিনি-সেমাই বিতরণে এরই মধ্যে ঈদের আমেজ নির্বাচনী উৎসবে রূপ নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ফলে এবার গ্রামাঞ্চলের পুরো চিত্র পাল্টে গেছে। সর্বত্রই নির্বাচনী শোরগোল। কারা প্রার্থী হয়ে আসছেন, কোন দলের কোন নেতা-নেত্রী বেশি এগিয়ে, গ্রাম ও গ্রামের মানুষের প্রতি আন্তরিক, এমন নানা বিষয়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ভোটারের আয়নায়।
তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাপট, দখলদারিত্ব, নির্যাতন ও নানা অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা একেবারেই কম হচ্ছে না। ফলে এসব দিক থেকে বিএনপির ত্যাগী নেতারা অনেকটাই জনগণের গুড নোট বুকে রয়েছেন। তবে অনেকের সমালোচনাও রয়েছে।
এদিকে এতদিন বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পিছুটান লক্ষ্য করা গেলেও সম্প্রতি তারা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। গেল কিছুদিন থেকে দলীয় প্রোগামগুলোতে উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। শুধু ঢাকাতেই নয়, জেলা-বিভাগীয় শহরেও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা এখন আন্দোলনমুখী হচ্ছে। ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়ার কথা বলছে। হঠাৎ বিএনপির এই পরিবর্তনের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? এমন প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই বিরাজমান। এর পেছনে এমন কোনো মেসেজ থাকতে পারে- যার কারণে বিএনপি ফের আন্দোলনের মাঠে নামতে চাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, তারা সরকার পতনের আন্দোলনে নামার চেয়ে বেশি ভাবছে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে মাঠ দখল করতে। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দাপটে মাঠ দখলে থাকা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের একটি আধিপত্য কমিয়ে এনে এলাকায় এক ধরনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার।
বিশ্বরাজনীতিতে নানা মেরুকরণ হওয়ায় বাংলাদেশেও ক্ষমতার পরিবর্তন অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে এর আগে কয়েক দফা সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যর্থতার পর চুপসে যাওয়া বিএনপির পক্ষে এখনো সরকার হটানো সম্ভব বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্প্রতি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের বন্যা দুর্গত হাওর অঞ্চল পরিদর্শন করে এই বিশ্বাস জন্মেছে তার বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। এক অনুষ্ঠানে সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার বিশ্বাস জন্মেছে এই আন্দোলনে সফল হওয়া যাবে।
ফখরুল বলেন, ‘হাওর অঞ্চলে বন্যাদুর্গত মানুষের খোঁজ নিতে গিয়ে সেখানে যে অভুতপূর্ব আবেগ ও সাড়া দেখেছি, তাতে আমার বিশ্বাস জন্মেছে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তাহলে এই অপশক্তি আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজকে এই কষ্টের দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে যে কোনো মূল্যে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো।’ এ ধরনের বক্তব্য শুধু মির্জা ফখরুলের নয়, অন্যান্য নেতাদের কন্ঠেও শোনা যাচ্ছে। সবাই একই সুরে কথা বলছেন, দলকে আন্দোলনমুখী হতে। তারা যে কোনো মূল্যে ক্ষমতার পট পরিবর্তন চায়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মুখেও একই ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে। আগের চেয়ে বর্তমানে বেশ দৃঢ় মনোবলে আন্দোলনের কথা বলছেন তিনি। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের অঙ্গীকার- সব গুম-খুনের রহস্য উন্মোচন করে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দোষীদের সাজা নিশ্চিত করবো।’
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল জাসাসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৮ কোটি। এই ৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিল। আজকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। কিন্তু এই দেশে গণতন্ত্র নেই। কাজেই এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে নিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনে আবার সংগ্রাম করতে হবে।’
এর আগে ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনেও বেগম জিয়াকে বেশ দৃঢ় প্রত্যয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। এতদিন ভারতের বিষয়ে কিছুটা রাখঢাক করে কথা বললেও ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বেশ স্পষ্টভাবেই ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণের সমর্থনপুষ্ট জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। নানাভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, এদেশের জাতীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিএনপিই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই দেশজাতির বর্তমান ও ভবিষ্যত স্বার্থ জড়িত রয়েছে এমন কোনো বিষয়ে বিএনপি নীরব থাকতে পারে না।’ ‘প্রহসনের মাধ্যমে নির্বাচিত বলে ঘোষিত সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত সংসদে কার্যকর কোনো বিরোধী দলের অস্তিত্বও নেই। ফলে দেশে বলবৎ রয়েছে জবাবদিহিতাহীন একতরফা স্বৈরশাসন। এতবড় প্রহসন ও জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত সরকারের নৈতিক কোনো ভিত্তি ও গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। জনগণের সম্মতি ও প্রতিনিধিত্বহীন এ ধরণের সরকারের জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার ও অধিকারও থাকে না।’
এর পাশাপাশি গত ১০ মে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘ভিশন ২০৩০’ নামে মহাপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।এতে তিনি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে একটি উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
এতে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, কৃষি-শিল্প ও শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সব সেক্টরে আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছেন। খালেদা জিয়ার পরিকল্পনা থেকে বাদ যায়নি জাতির বিভক্তি ও প্রতিহিংসা নিরসনে জাতি গঠনে উন্নত গণতান্ত্রিক পথে দেশকে এগিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও। তিনি এটিকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন।
বেগম জিয়া জোর দিয়েই বলেন, ‘শরতের আকাশে সাতটি রঙের বিচিত্র প্রভা নিয়ে রঙধনু যেভাবে মনোরম সৌন্দর্যের বিচ্ছূরণ ঘটায়, আমরা চাই সকল মত ও পথকে নিয়ে এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি লালন ও পরিপুষ্ট করতে যে সংস্কৃতি বাংলাদেশকে একটি Rain-Bow Nation এ (রঙধনু-জাতিতে) পরিণত করবে।’
এছাড়াও রমজানজুড়েই সরব ছিলেন বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া। বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় সরকারের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি দলকে নির্বাচনমুখী করার চেষ্টা। জনগণের কাছে ভোটও চেয়েছেন তিনি।
১৭ জুন রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস ব্যাঙ্কুয়েট হলে জাগপার ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ়মনোবলে বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের নৌকা ডুবে গেছে তা আর টেনে তোলা সম্ভব হবে না।
এর কয়েকদিন আগে এক ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি জিতবে। আমরা সহায়ক সরকারের কথা বলেছি, সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামীতে বিএনপি ও ২০ দল ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ কোনো নির্বাচন করতে পারবে না।’
১৩ জুন লেবার পার্টি আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এ সরকারের আমলে কেবল মৃত্যুর মিছিল চলছে। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসার পর থেকে একের পর এক এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সহায়ক সরকারের অধিনেই নির্বাচন চায় দেশের মানুষ। আওয়ামী লীগের এমন লোক দেখানো নির্বাচনের ধোকার মধ্যে পড়তে চায় না তারা।
খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার দেশের সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এবারো সেই ফন্দি আঁটার ব্যবস্থা করছে। দেশের মানুষ বার বার আওয়ামী লীগকে এমান সুযোগ দিবে না। মানুষ এখন অনেক সচেতন। তাই আপনাদের পাতানো ফাঁধে আর পা দিবে না তারা।
সবমিলেই বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার মনোবল খুবই দৃঢ়। এতে অনেকটাই অনুমেয়, দাবি আদায়ে বিএনপি আবারো শক্ত আন্দোলনের দিকে এগুচ্ছে। তবে সেই আন্দোলন কখন থেকে শুরু হবে সেটা এখনো সুস্পষ্ট নয়। তবে দলের একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের মোটিভের উপর নির্ভর করছে এই আন্দোলন। তাদের ভাষ্য মতে, সরকার যদি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থেকে যেতে চায় সেটা বিএনপি কোনোভাবেই মেনে নিবে না। এক্ষেত্রে বিএনপি শক্ত আন্দোলনের দিকে যাবে। তবে এতটা আগেই আন্দোলনে যেতে চাচ্ছে না বিএনপি। আরেকটু সময় পেরিয়ে নির্বাচন সামনে রেখেই কঠোর হতে চাচ্ছে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময়- ১০:৪৫ পি.এম, ২৬ জুন ২০১৭,সোমবার
ইব্রাহীম জুয়েল