রাজনীতি

বিএনপি মনোনীত ১২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

সরকার দলীয় চেয়ারম্য্যান প্রার্থীদের কেন্দ্র দখল, বিএনপির এজেন্টদের মারধর, জাল ভোট এবং নৌকার ব্যালেটে আগাম সিল মারার অভিযোগ এনে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিএনপি মনোনীত ৮ চেয়ারম্যান, লাকসামের ৩, লালমাই উপজেলার ১ প্রার্থীসহ ১২ প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার নাঙ্গলকোট প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে নাঙ্গলকোটের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যানরা ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভোট বর্জনকারী ৮ চেয়ারম্যান জানান, সকাল থেকেই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রই দখলে নেয় সরকার দলীয় নৌকার সমর্থকরা। এর আগে রাতেই অনেক ভোট কেন্দ্রে নৌকার ব্যালটে সিল মারা হয়।

চেয়ারম্যানরা আরও অভিযোগ করেন, সকালে বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্রের গেইট থেকেই বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়। এতে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করেছেন।

ভোট বর্জনকারী চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন, আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, আদ্রা উত্তর ইউনিয়নে মাহবুবা আক্তার, বড়তলী ইউনিয়নে গোলাম মাওলা, দৌলখাঁড় ইউনিয়নে মো: মোশারফ হোসেন, জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নে শফিকুর রহমান চৌধুরী, জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নে শাহজাহান মজুমদার, রায়কোট উত্তর ইউনিয়নে মোঃ ইদ্রিস মিয়া এবং রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে ৮ চেয়ারম্যান আরও জানান, তারা ৮ ইউনিয়নের ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাস্টার সাইফুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাতপাখার নাছির উদ্দীন মামুন। তারা সকাল ১০টায় চাটিতলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন, মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে শাহ আলম, মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে, মো: আবুল বাসার। লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ।

নিজের ভোট দিতে পারেননি ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী
কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাস্টার সাইফুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাতপাখার নাছির উদ্দীন মামুন।

তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের ভোটটি পর্যন্ত চাটিতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দিতে পারিনি।বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি।’ (নয়াদিগন্ত)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫ :১০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার
এএস

Share