বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। আজ ২৫ মার্চ বুধবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেল থেকে ছাড়া পান তিনি। বেলা দুইটার কিছু পর কারা কর্তৃপক্ষ মুক্তির ছাড়পত্র নিয়ে বিএসএমএমইউতে যায়।
খালেদা জিয়াকে তাঁর ভাই ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিনা ইসলাম ও ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু আনতে যান। বেলা আড়াইটার দিকে তাঁদের গাড়ি হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার পরই কয়েক শ নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হন। স্বজনেরা সেখানে পৌঁছানোর মিনিট দশেক আগে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা দেওয়ার পরপরই দলের নেতা-কর্মীরা বিএসএমএমইউর সামনে যান। আজ দুপুর ১২টায় প্রথমে বিএনপিপন্থী চিকিৎসক সংগঠনের সদস্য ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন। শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে তিনি প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন। তবে বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, খালেদা জিয়া তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ শুনছেন না।
শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরে আইনজীবীরা একাধিকবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেন। প্রতিবারই তা নাকচ হয়ে যায়। গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ ব্রিফিং করে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তির ঘোষণা দেন।
বার্তা কক্ষ, ২৫ মার্চ ২০২০