মার্চের বিএনপির জাতীয় সম্মেলনের পর কমিটি করতে দিয়ে ‘অস্বাভাবিক বিলম্ব’ শুরু থেকেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। কাকে রেখে কাকে বাদ দেবেন-এ নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু থেকেই ছিল বিএনপির শীর্ষ পর্যায়েই। প্রায় পাঁচ মাস পর ৫০২ সদস্যের ‘ঢাউস কমিটি’ ঘোষণার পরও দলের ভেতর ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ্যে।সদ্য ঘোষিত কমিটিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ভবিষ্যতে আবারও ভাঙনের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি নতুন কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র দলটির মধ্যে নতুন করে কোন্দল তীব্র হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ না পাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন ফালু বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদও পদত্যাগ করতে পারেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, “দলে আমার প্রয়োজনিয়তা ফুরিয়েছে। এখন আর বিএনপিতে থাকা না থাকা কোন মুখ্য বিষয় হতে পারে না। তবে এখনো পদত্যাগ পত্র জমা দেই নি। কি সিদ্ধান্ত নেব সময়মত আপনাদের জানিয়ে দেব।”
এ ছাড়া আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি, আশিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহেনা আক্তার রানু, শাম্মি আক্তার, অ্যাডভোকেট আনোয়ারা শিখাসহ বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপি থেকে সরে যেতে পারেন বলে খবর পাওয়া গেছে। একাধিকবার তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলাদা মিটিং করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেন। তবে সরাসরি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আবার ৩০ বছরের বেশি সময় বিএনপির রাজনীতি করে কোনো পদই পাননি এমন ছাত্রনেতাও এ দলে আছেন, যাঁরা একযোগে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন। সব মিলিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ভাঙ্গনের মুখে পরতে যাচ্ছে বিএনপি। এর ফলে খোদ বিএনপির মধ্যে আসন্ন নির্বাচনে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে সংশয় দেখা দিয়েছে।(বাংলাদেশ টাইমস)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:২২ পি,এম ১২ আগস্ট ২০১৬,শুক্রবার
ইব্রাহীম জুয়েল