২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড মামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে জন্য আগামী ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকায় ১ নম্বর অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় আরও ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এ সময় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আর আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। পরে এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)।
এরপরে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। এর ফলে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।
তবে অভিযোগপত্র থেকে জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের নাম বাদ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। আর বাকি আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ২৩ জন। এছাড়া জামিনে থাকা আটজনের জামিন বাতিল করা হয়েছে।
বার্তা কক্ষ