সারা দেশের মহানগর ও জেলায় শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ কর্মসূচি পালন করতে চায় দলটি।
এজন্য নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে ৭৫ কেন্দ্রীয় নেতা যাচ্ছেন তৃণমূলে। জ্বালানি খাতে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরতে ইতোমধ্যে নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির হাইকমান্ড।
আজ ঢাকা মহানগর উত্তর থেকে শুরু হবে তিন দিনের এই কর্মসূচি। যা রোববার সারা দেশের জেলা পর্যায়ে পালনের মাধ্যমে শেষ হবে। তবে বন্যাক্রান্ত ৬ জেলা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের জনগণের কষ্টের শেষ নেই। এর মধ্যে আবার বিদ্যুতের শোডশেডিং। সব মিলিয়ে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এই লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে কলকারখানাগুলোতেও। দলের বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আশা করছি নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ঢাকা মহানগর উত্তর, কাল শনিবার ঢাকা দক্ষিণসহ সব মহানগর ও রোববার দেশের সব জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ ৭৫ কেন্দ্রীয় নেতা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে তৃণমূলে যাচ্ছেন। দলটির হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা স্ব স্ব জেলার কর্মসূচিতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করবে। সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক কর্মসূচি সফল করতে সার্বিকভাবে সমন্বয় করবে এবং বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
আগামীকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও সব মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম মহানগরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রাজশাহী মহানগরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খুলনা মহানগরে মির্জা আব্বাস, বরিশাল মহানগরে নজরুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহ মহানগরে বেগম সেলিমা রহমান, সিলেট মহানগরে ড. আব্দুল মঈন খান উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া রংপুর মহানগরে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ফরিদপুর মহানগরে বরকতউল্লাহ বুলু, কুমিল্লা মহানগরে মো. শাজাহান, গাজীপুর মহানগরে আব্দুল্লাহ আল নোমান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরে শামসুজ্জামান দুদু থাকবেন।
এছাড়া রোববার দেশের সব জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। এতে অংশ নিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে আব্দুল হাই শিকদার, মানিকগঞ্জে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মুন্সীগঞ্জে অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, ঢাকায় ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, গাজীপুরে অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, নরসিংদীতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ে হারুন অর রশিদ, ঠাকুরগাঁওয়ে অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, দিনাজপুরে অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দপুরে আনিসুজ্জামান খান বাবু, নীলফামারীতে আবুল কালাম সিদ্দিকী, রংপুরে শিরিন সুলতানা ও গাইবান্ধায় আসাদুল হাবিব দুলু।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় আমানউল্লাহ আমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নওগাঁয় হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রাজশাহীতে আব্দুস সালাম, নাটোরে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সিরাজগঞ্জে মিজানুর রহমান মিনু, পাবনায় লে. কর্নেল (অব.) আব্দুল লতিফ খান ও জয়পুরহাটে নাজমুল হক নান্নু।
খুলনা বিভাগের মেহেরপুরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কুষ্টিয়ায় আতাউর রহমান ঢালী, চুয়াডাঙ্গায় অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, ঝিনাইদহে অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যশোরে মশিউর রহমান, মাগুরায় অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, নড়াইলে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, বাগেরহাটে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাতক্ষীরায় আজিজুল বারী হেলাল ও খুলনায় ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বরিশাল বিভাগের বরগুনায় বিলকিস জাহান শিরিন, পটুয়াখালীতে অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার, ভোলায় এবিএম মোশাররফ হোনের, বরিশাল দক্ষিণে অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বরিশাল উত্তরে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ঝালকাঠিতে অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া ও পিরোজপুরে মীর সরফত আলী সপু। ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুরে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শেরপুরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ময়মনসিংহ উত্তরে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও ময়মনসিংহ দক্ষিণে ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। ফরিদপুর বিভাগের রাজবাড়ীতে শ্যামা ওবায়েদ, ফরিদপুরে মীর মোহাম্মাদ নাসির উদ্দিন, গোপালগঞ্জে অধ্যাপক সুকমল বড়ুয়া, মাদারীপুরে জহরুল ইসলাম শাহাজাদা মিয়া ও শরীয়তপুরে অ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান।
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারে ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন ও হবিগঞ্জে খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির।
কুমিল্লা বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তরে রাশেদা বেগম হিরা, কুমিল্লা দক্ষিণে হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসীন ও চাঁদপুরে অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. শামছুল আলম।
চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনীতে এসএম ফজলুল হক, নোয়াখালীতে আব্দুল আউয়াল মিন্টু, লক্ষ্মীপুরে মনিরুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আবুল খায়ের ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম উত্তরে জয়নাল আবেদীন ফারুক, খাগড়াছড়িতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রাঙামাটিতে লুৎফর রহমান কাজল, বান্দরবানে জয়নাল আবেদীন ও কক্সবাজারে মাহবুবের রহমান শামীম।
তবে বন্যাকবলিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বার্তা কক্ষ, ২৯ জুলাই ২০২২