Home / জাতীয় / রাজনীতি / বিএনপির সদস্যদের পদত্যাগে সংসদ অচল হবে না : ওবায়দুল কাদের
বিএনপির
ফাইল ছবি

বিএনপির সদস্যদের পদত্যাগে সংসদ অচল হবে না : ওবায়দুল কাদের

‘বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে সংসদ অচল হবে না’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মানুষ জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও খুনের বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না। খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না মানুষ। তিনি বলেছেন, বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের পদত্যাগের ঘোষণায় জাতীয় সংসদ অচল হয়ে পড়বে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এই ভুলের জন্য বিএনপিকে অনুতাপ করতে হবে।

সাভারের রেডিও কলোনি মাঠে আজ শনিবার আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই উপজেলা এবং সাভার পৌর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।

আজ সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সাভারের জনসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মাঠ। এ সময় তাঁরা নানা স্লোগান দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেও আওয়ামী লীগের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তার বাইরে জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য ১৪ দলের নেতারা আছেন। ভয়ের কিছু নেই।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে দেশে বিলাসবহুল মার্কেট, সুইস ব্যাংকের টাকা—সবকিছুর খবর নেওয়া হচ্ছে। কোথা থেকে আসে টাকা, কোন ব্যবসায়ী শিল্পপতি বিএনপিকে বনভোজন করার জন্য টাকা দিয়েছে, সেই খবরও নেওয়া হচ্ছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি না পেলেও তারা সেখানে প্রস্তুতি নিয়েছে। পিকনিক, পার্টি শুরু করেছিল। যাকে বলে বনভোজন। এসবের টাকা কোথা থেকে আসে?’

পুলিশি কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা করলে, পুলিশ কী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবে? নাকি চুপ করে থাকবে?’

লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে বিএনপি দেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে। সেই খেলা হবে বিএনপির সন্ত্রাস আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ঢাকায় পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় সমাবেশ হয়েছে। ঢাকা মহানগর আজ বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার কর্মীদের দখলে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে বিএনপির অন্তরে জ্বালা। মেট্রোরেল আসছে, বঙ্গবন্ধু টানেল আসছে। দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হয়েছে। এসব দেখে ফখরুল সাহেবদের মনে বড় জ্বালা।’

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করেছে, তারাই ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন আর আশার বাতিঘর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার টার্গেট করা হয়। হত্যা করা হয় আইভি রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা এদেশে বাংলা ভাই শায়খ আব্দুর রহমান সৃষ্টি করেছে, তাদের হাতে দেশের ক্ষমতা ফেরত দেওয়া যায় না। তাদের আমলে যে বাংলাদেশ ছিল সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদের ঠিকানা, সেই বাংলাদেশ আমরা চাই না।’

বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কূটনৈতিকদের অবস্থানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুরা বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে, আরও বুঝবে।

বার্তা কক্ষ, ১০ ডিসেম্বর ২০২২