বিগত দু’মাসে বিএনপি আয় করেছে ৬ কোটি টাকা। এ দু’মাসজুড়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি থেকে ৬০ লাখ সদস্য ফরম বিক্রি বাবদ এ আয় করেছে দলটি। ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও অর্ধেকের বেশি অর্জিত হয়েছে।
বিএনপির দুই মাসজুড়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি কার্যক্রম শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট)। দলটির ফরম বিক্রি করে আয়ের টার্গেট ছিল ১০ কোটি। আর নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি। তবে ফরম বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৬ কোটি আর নতুন ও পুরাতন সদস্য নবায়ন হয়েছে ৬০ লাখ।
মূলত আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে চাঙ্গা, মাঠের নেতাকর্মীদের ডাটা সংগ্রহ ও তহবিল সমৃদ্ধ করতে এই কর্মসুচীতে গুরুত্ব দেয় দলটি। আর ১০ টাকা করে প্রতিটি ফরম বিক্রি করে ৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ১ জুলাই রাতে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি নিজেও সেদিন তার সদস্যপদ নবায়ন করেন।
কর্মসূচি উদ্বোধনের পর দলে দলে নেতারা ঢাকায় আসেন ফরম কিনতে। দল থেকে এক কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের টার্গেট পূরণের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০০, পৌরসভার ওয়ার্ডে ৩০০ এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজার করে নতুন সদস্য সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়।
প্রথম মাস জুলাইতে ৩৮ লাখ ফরম বিক্রি হয়ে যায়। দ্বিতীয় মাস আগস্টে বন্যার কারণে নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন ত্রান বিতরণ কর্মসুচি নিয়ে। ফলে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে ভাটা পড়ে।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য অর্জন করতে না পারার কারন হিসাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসুচিতে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের বাধাকে দায়ী করা হয়েছে। তারা বলেন, এ কর্মসূচির সময় বাড়ানো হবে। সদস্য সংগ্রহ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বেঁধে দেওয়ার সময়ের পরও সদস্য ফরম বিক্রি ও জমা নেওয়া হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানান, দলের সদস্য যে কোনো সময় হওয়া যায়। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। বছরের যে কোনো সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সদস্য ফরম সংগ্রহ করা যাবে। এই ফরম জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রাথমিক সদস্য হওয়া যাবে।
সদস্য সংগ্রহ তদারকি টিমের সমন্বয়ক বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী জানান, নানাবিধ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের কর্মসূচি থেমে নেই। আমরা আজকালের মধ্যে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
ইতিপূর্বে ২০০৯ সালে এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ওই সময় বিএনপির সদস্য সংগ্রহের টার্গেট ছিল ৫০ লাখ। ১৫ লাখ ফরম বিক্রি হয়েছিল তখন।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০ : ৪৫ পিএম, ১ সেপ্টম্বর ২০১৭, শুক্রবার
এইউ