চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মূল্যায়ন পেতে চান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের আস্থাভাজন চাঁদপুর পৌর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সমাজসেবক ইব্রাহীম কাজী জুয়েল।
১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দলের দুঃসময়ে ১/১১ এ সর্বপ্রথম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আমার নিজস্ব অফিস থেকে তৎকালীন মাঠে অবস্থানরত সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ওপেন টেলিকনফারেন্স করি। যা দেশের সকল টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় লিড নিউজ হিসাবে প্রচারিত হয়। ক্রসফায়ার থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বেঁচে পুলিশ ও র্যাবের নির্যাতনে মৃত্যু পথযাত্রীও একসময় হয়েছিলাম।দলের সাথে থেকে রাজনীতিতে সরব অবস্থানেও রাজপথে রয়েছি।তাই এখন দল থেকে মূল্যায়ন পাওয়ার সময় এসেছে বলে মনে করছি।
ইব্রাহীম কাজী জুয়েল আরো বলেন, শুধুমাত্র বিএনপি করার কারনে আমাকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী কর্তৃক অর্ধশত মামলার আসামী হতে হয়েছে।যার মধ্যে ২১টি মামলা এখনো চলমান।এরমধ্যে এসব প্রতিহিংসার মামলার আসামী হয়ে ৮/৯ বার আমাকে কারাবরণ করতে হয়েছে।
তিনি একটি মামলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, যার মধ্যে ২০১৫ সালে জিআর-৫৬নং মামলায় দীর্ঘ ৬ মাস হুইল চেয়ারে করে কারাভোগ কালীন সময়ে পবিত্র ঈদুল আযহাতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। তবুও কারাবন্দী নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিয়ে সহযোগিতা করে গেছি। এখন পর্যন্ত দলীয় সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নসহ ঈদ,পূূূজা উৎসব কেন্দ্রীক সময়েও নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
দলের প্রতি আস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটের মাধ্যমে অর্থাৎ পৌর প্রতিনিধি ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের মতামত নিলে দলীয় প্রতীক আমিই পাবো। কেননা আমাদের অভিভাবক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মুহূর্তেও দলীয় ঐক্য গড়তে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছি। ওই সময়ে নির্বাচনের এক প্রস্তুতি সভা থেকে দলীয় অর্ধশত নেতাকর্মীসহ পুলিশের হাতে আমাকে আটক হতে হয়। যদিও কোন অভিযোগ পাওয়া না যাওয়ায় আমাকেসহ আটক সবাইকে পুলিশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
তিনি দলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আরো বলেন, দলীয় গ্রুপিং ও কতিপয় ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে আমি সব রকমের দলীয় পদ-পদবী থেকেও বর্তমানে বঞ্চিত রয়েছি। তাই দক্ষতা,ত্যাগ ও তৃণমূলের মতামত নিলে দলের দুঃসময়ের সাথী হিসেবে আমিই দলীয় মনোনয়ন পাবো বলে প্রত্যাশা করছি। যদিও এর আগে বেশ কয়েকবার মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে আমি দল থেকে সমর্থন চেয়েছিলাম। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমি নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেই। আর দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই রাজনীতিতে স্ব-শরিরে সক্রিয় ও স্বরব নেতৃত্বে অবস্থান নিয়ে কার্যক্রম করে যাচ্ছি। তাই এবার নতুন করে সুযোগ এসেছে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার। তাই তৃণমূলের আস্থা হিসেবে আমি শতভাগ নিশ্চিত দলীয় মননোয়ন আমিই পাবো। আগামী ১০ থেকে ১২ই সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যেই মনোনয়নের ব্যপারে দলীয় সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে বলে মনে করছি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০