বিএনপির ডাকা হরতালে হাজীগঞ্জের রাজপথ ছিলো আওয়ামী লীগের দখলে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত শনিবার ঢাকা সমাবেশ থেকে দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। তারই আলোকে রবিবার হরতাল থাকলেও বিএনপির স্থানে হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজপথ ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে। পাশাপাশি পুলিশের অবস্থান দেখা মিললেও মিলেনি বিএনপি বা তার অঙ্গসংগঠনের কোন নেতাকর্মীদের রাজপথে উপস্থিতি।  যেকারণে কোথায় কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের হাজীগঞ্জ বাজার, আলীগঞ্জ,  এনায়েতপুর, বলাখাল, বাকিলা বাজার, জিয়ানগর, বেলচোঁ ও সেন্দ্রা বাজারে সব কিছু ছিল স্বাভাবিক পর্যায়ে। দোকান পাঠ খোলা থাকলেও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। সড়কে বড় বাস ছাড়া চলাচল ছিল মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা ও হুন্ডার। 

এদিকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হাজীগঞ্জ বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় শান্তির মিছিল। একই দিন দুপুরে বলাখাল বাজারে মিছিল করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম মাহবুব উল আলম লিপনের নির্দেশে ১ ও ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।  তাছাড়া বাকিলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি। এদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নিজ এলাকায় বেলচোঁ বাজারে অবস্থান নেয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।  সেখানে টহল অবস্থায় দেখা যায়, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদসহ পুলিশের খন্ড খন্ড অবস্থান। 

জানাযায়, বিগত সময়ে হরতাল অবরোধের সময় হাজীগঞ্জ বাজার, আলীগঞ্জ,  এনায়েতপুর, বলাখাল, বাকিলা বাজার, জিয়ানগর, বেলচোঁ ও সেন্দ্রা বাজারের এসব স্থানে বিএনপি জামায়াতের অবস্থান ছিল। রবিবার এইসব স্থানে এবার আওয়ামী লীগ টার্গেট করে শক্ত অবস্থানের জানান দিতে অবস্থান নেয়। 

হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম পাটোয়ারী বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় ভাবে ঢাকা কর্মসৃচি ছিল বলে বিএনপির নেতাকর্মী হাজীগঞ্জ রাজপথে অবস্থান নিতে এলোমেলো হয়েছে। তবে জনগণ এ হরতালকে সমর্থন দিয়ে ঘর থেকে তেমন একটা বের হয়নি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় ভাবে নির্দশনা অনুযায়ী আমরা রাজপথে শান্তি বজায় রাখার লক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্দশনায় নিজ নিজ এলাকায় নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ ছিল যানবাহনে সাধারণ মানুষ চলাচলে যেন বিএনপি জামায়াত কোন বাধা প্রয়োগ করতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, টোরাগড় এলাকায় বিএনপি একটু বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুলিশের উপস্থিতির আগে ত্যাগ করে। তাছাড়া আর কোথায়ও কোন সমস্যা হয়নি। আজকের হরতালে কেউ আটক হয়নি। সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। 

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,২৯ অক্টোবর ২০২৩

Share