আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মধ্যে যারা মাদক সম্রাট তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির এক সেমিনারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে চিরকুটে পাঠানো প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নতুন কমিটি দিয়েছে। পত্রিকার রিপোর্টে আছে, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এ কমিটিতে। তাই আপনারাইতো (সাংবাদিক) স্বীকার করলেন, সদ্যঘোষিত কমিটিতে মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী আছে। কে কোথায় আছে, কে রাঘববোয়াল, কে চুনোপুটি, তা দেখা হচ্ছে।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন বিএনপি না আসলে সময় স্রোত তো অপেক্ষো করবে না। সংবিধান ও গণতন্ত্র কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। ৫ জানুয়ারির ভুলের পুনরুবৃত্তি হলে ভুলের মাশুল বিএনপিকেই দিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার খোয়াব দেখে বিএনপির লাভ হবে না। বিএনপি না আসলেও তাঁরা ছাড়া বাকি সব নিবন্ধিত দলই আসবে। নিবন্ধিত দল তো ৩৯টি আছে। একটা গেলে আরো ৩৮টা থাকবে। কোনও অসুবিধা আছে?’ তিনি বলেন, বিএনপি ছাড়া সকল নিবন্ধিত দলই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই ৫ জানুয়ারির মতো আগামী নির্বাচনও তাদের জন্য থেমে থাকবে না।’
মাদক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের তরুণ সমাজকে বাঁচাতে শেখ হাসিনা ছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়া মাদক সাফ করতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। দেশে মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। তরুণ সমাজকে বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে আপোষহীন চলবে। এরপর শুরু হবে ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তদন্ত দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বন্ধু, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তারা চাইতেই পারে। কিন্তু এখানে আমরা নিজেরাই তদন্ত করছি। শেখ হাসিনা সরকারই তদন্তের বিষয়ে যথেষ্ট। অন্য কারও মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’
তিনি বলেন, কাউন্সিলর একরামুল হত্যায় তদন্ত হচ্ছে, দোষীরা ছাড় পাবে না। অভিযানে ‘ভুলে’ নিহত একরামুল হক নিজ দলের কর্মী জানিয়ে এ নিয়ে অন্য কাউকে মাথা না ঘামানোর পরামর্শও দিয়ে তিনি বলেন, সরকার এই ঘটনার তদন্ত করছে। শেখ হাসিনা অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেন না। তিনি বারবার বলেছেন, এ অভিযানে যদি কোনও নিরীহ মানুষ টার্গেট হয়, যারা দোষী তারা রেহাই পাবে না। তাদেরও বিচার হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের পরিবেশ যে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে তা নিয়ে রাজনীতিবিদরা কোনও কথা বলছেন না। তারা দূষণ, ভেজাল, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেন না। তিনি বলেন, সবাই তত্ত্ব কথা বলেন, রাজনীতির নানা তত্ত্ব দিয়ে বেড়াচ্ছে সরকার খারাপ, দেশ খারাপ। বাংলাদেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, পরমাণু ক্লাবে যুক্ত হয়েছে- এসবের কোনও সুনাম নেই। সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন হাইকোর্টে হলো, আপিল বিভাগেও হলো। তখন কি সরকার হস্তক্ষেপ করেছে? এখন যখন জামিনের আইনি প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে তখন তারা তা মেনে নিতে পারছে না। তারা আদালত মানে না।’