চাঁদপুর

চাঁদপুর শহরে বেড়েই চলছে অটোবাইকের দৌরাত্ম্য : অসহনীয় যানজট

নিয়ন্ত্রণহীন অস্বাভাবিক অবৈধ অটোবাইকের দৌরাত্ম্যে চাঁদপুর শহরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দিন দিন এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। যত্রতত্র পার্কিং, স্ট্যান্ড এবং যেখানে-সেখানে থামানো, আবার কখনও রাস্তাজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকছে এই অটোবাইক।

পেছনে কোনো যানবাহন আটকা পড়ল, না মানুষ আটকা পড়ল তা নিয়ে অটোবাইক চালকদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

শুধু যানবাহন নয়, চাঁদপুর শহরে মানুষের চেয়ে অটোবাইকের সংখ্যাই যেন বেশি দেখা যাচ্ছে।মনে হয় যেনো একজন যাত্রীর জন্যে একটি অটোবাইক।যেখানে একটি অটোবাইকে ৭ জন যাত্রী নিয়ে রাস্তায় যাতায়াত করার কথা কিন্তু দেখা যাচ্ছে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই সড়কে চলাচল করা এ যানবাহনটি। যার যন্ত্রণায় চাঁদপুর শহরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

যততত্র পার্কিং আর সড়কজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে শহরে এখন দীর্ঘ যানজট থাকে সবসময়। দেখা গেছে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং মোড়ে মাঝ বরাবর অনেক অটোবাইক জটলা করে দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রীর আশায়। আবার রাস্তার মাঝখানে থামিয়েই যাত্রী ওঠানো এবং নামানো হয়। এই চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা এখন চাঁদপুর শহরের প্রধান সড়কগুলোতে। অথচ এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের কারোরই কোনো মাথাব্যথা নেই।

চাঁদপুর পৌরসভার লাইসেন্স শাখা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার লাইসেন্সধারী অটোবাইকের সংখ্যা হচ্ছে বর্তমানে দুই হাজার ২৫০টি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই সংখ্যা হবে তিন গুণেরও বেশি। অথচ চাঁদপুর শহরের ভেতরে প্রধান সড়কগুলোর অবস্থানের আলোকে কী পরিমাণ যানবাহন শহরের অভ্যন্তরে চলাচল করলে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকে, এর হিসেব কোনো দফতরেই নেই।

চাঁদপুর শহর বলতে প্রধানত যে অংশটুকু বোঝায় তা হচ্ছে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পশ্চিমমুখী কুমিল্লা রোড এবং স্টেডিয়াম রোড হয়ে শপথ চত্বর, নতুনবাজার, কালীবাড়ি, চৌধুরীঘাট ও বড় স্টেশন এলাকা পর্যন্ত। এসব এলাকায় যাতায়াতে যে সড়কগুলো ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে করিম পাটওয়ারী সড়ক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, হাজী মহসিন রোড, জেএম সেনগুপ্ত রোড, মিজানুর রহমান চৌধুরী সড়ক, পালবাজারের সামনে সড়ক, স্ট্যান্ড রোড এবং বড় স্টেশন লঞ্চঘাটমুখী নিশি রোড ও মাদ্রাসা রোড। এ সড়কগুলো এমনিতেই খুবই সরু এবং একইভাবে সড়কগুলো খুবই ব্যস্ততম। এ সড়কগুলোতেই অটোবাইকের উপদ্রব থাকে সবচেয়ে বেশি। দীর্ঘ সময়ের যানজট থাকে সড়কগুলোতে।

বিশেষ করে কালীবাড়ি তথা ওয়ানমিনিট মোড় থেকে চৌধুরীঘাট পর্যন্ত, হকার্স মার্কেটের সামনে থেকে শপথ চত্বর এলাকা, ঘোষপাড়া পুল থেকে শপথ চত্বর এলাকা এবং মাতৃপীঠ স্কুল সংলগ্ন চৌরাস্তা মোড় সর্বক্ষণ থাকে যানজট তথা অটোবাইকের দখলে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন,‘এই শহরে লঞ্চঘাট রয়েছে। সে কারণে তিন-চারটি জেলার যাত্রীরা এই লঞ্চঘাট দিয়ে অটোবাইকে আসা-যাওয়া করে। এতে সিএনজি ও অটোবাইকে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে সহসাই আমরা এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো।’

করেসপন্ডেট
২৬ জানুয়ারি,২০১৯

Share