বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে কোনো নিবন্ধিত মোবাইল সিম মেলেনি বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেছেন, মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করলেও একটি বড় রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হিসেবে তার সিম নিবন্ধন না করাটা দুঃখজনক ঘটনা।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে রোববার সচিবালয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তারানা বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তিন বাহিনীর প্রধান করেছেন, সব মন্ত্রী করেছেন, প্রতিমন্ত্রী করেছেন, মাননীয় স্পিকার করেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা (সজীব ওয়াজেদ জয়) করেছেন, সব সচিব করেছেন, সেনা বাহিনীর সদস্যরা করেছেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন না করায় খালেদা জিয়ার সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি এখনো পুনঃনিবন্ধন করিয়ে নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে নিয়ম সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাকে সিমটি কিনে নিতে হবে। যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে নিতে হবে, অথবা অপারেটররা যে সুযোগ দিয়েছিলেন (৪ জুন পর্যন্ত) সেই সময়ে করলে বিনা পয়সায় করতে পারতেন। বোধহয় সেই সুযোগটিও তিনি গ্রহণ করেননি, তিনি সিম কিনে নিতে পারেন। নিয়ম সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য।
টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস-চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিনিধি এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩১ মে আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম পুনঃনিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ হয়। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১১ কোটি ২১ লাখ সিম পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে। ৩১ মে’র পর সব অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে গেছে। অপারেটররা নিজেরা সরকারকে অর্থ পরিশোধ করে বন্ধ সিম পুনঃনিবন্ধন করে চালু করে দিচ্ছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সর্বশেষ এপ্রিল মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৬টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজার।(জাগোনিউজ)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৪:৪৭ পিএম, ০৫ জুন ২০১৬, রোববার
এইউ