হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ভিতরে গত কয়েক বছর ধরে আবাসিক গ্যাস ব্যবহার করে সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে চলছে ঘরোয়া খাবার হোটেলের রমরমা ব্যবসা ।
হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন অলিগলির বাসা বাড়ির ভিতরে আবাসিক গ্যাস দিন রাত ব্যবহার করে দৈনিক শত শত অস্থায়ী লোকের খাবার পরিবেশন করে আসছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে দিন দিন লোকসান গুনতে হচ্ছে বাজারের হোটেল মালিকদের।
দেখা যায় বড় বড় হোটেল গুলো ভাড়া, বানিজ্যিক গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, কর্মচারী বিলসহ রিতিমত সরকারকে ভ্যাট প্রদান করে আসছে। অথচ এসব বাসা বাড়ির ঘরোয়া খাবার হোটেলের মালিকদের এসব কিছুই বহন করতে হচ্ছেনা।
বাজারের অস্থায়ী কাস্টমার ঘরোয়া হোটেলের খাবার বিল বাজারের হোটেলের তুলনায় কম খরচ হওয়ায় ওই দিকে বেশী যাচ্ছে বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বাসা বাড়ির এসব ঘরোয়া হোটেলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বাজারের কাপড়িয়া পট্রির শেষ মাথায় পাটওয়ারী ভিলায় আরতী রানী নামের এক ভাড়াটিয়া মহিলার বাসায় দৈনিক ৩০/৩৫ জন লোকের জন প্রতি ৫০/৬০ টাকা হারে খাবার পরিবেশন করে আসছে।
এছাড়াও পশ্চিম বাজারের নার্গিস হোটেলের পাশে সুশীল সাহার এক ভাড়াটিয়া একই নিয়মে ঘরোয়া হোটেল রয়েছে। এদের মত বাজারের আরো কয়েকটি স্থানে গড়ে উঠেছে ঘরোয়া হোটেল যা অনিয়মের মধ্যে কর, ভ্যাট ছাড়াই আবাসিক গ্যাস ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ব্যবসা।
কিছু দিন পূর্বে গ্যাস কোম্পানির লোক এসে বাজারের ট্রাক রোড মাছ বাজারের সাথে কালা সাহার স্ত্রী মমতা রানীর বাসায় ৫০/৬০ জন লোকের খাবার তৈরির আবাসিক গ্যাসের চুলার সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
হাজীগঞ্জ বাজারের দুই পাশে একাধিক বড় বড় হোটেল-রেস্তেরার পাশাপাশি বিভিন্ন অলিগলিতেও রয়েছে খাবার হোটেল। বড় হোটেলের পাশা-পাশি ছোট হোটেলের কাস্টমাররাই সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে বাসা । দিন দিন কাস্টমারের অভাব দেখা দেওয়ায় অনেক হোটেল বর্তমানে বন্ধ হওয়ার পথে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উজ্জল হোটেলের মালিক জানান, এক সময় আমার হোটেলে কাস্টমার জায়গা দিতে কষ্ট হত, বর্তমানে বাসা বাড়িরর ঘরোয়া হোটেলের কারনে কাস্টমারের সংখ্যা নেই বললেই চলে।
বনিক পট্রির আদর্শ হোটেলের মালিক বলেন, আমরা বানিজ্যিক গ্যাস বিল, সরকারকে ভ্যাট নিয়মিত দিয়ে আসছি। অথচ এসব ঘরোয়া হোটেলের মালিকরা আবাসিক গ্যাস ব্যবহার করে আসছে। তাদের তেমন খরচ নেই বললেই চলে। আমরা কারিগর ও শ্রমিকের বেতন দিতে পারছিনা কাস্টমার না থাকায়।
এদিকে গত কয়েক মাস পূর্বে বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানীর লোক অভিযান চালিয়ে এ ধরনের কয়েকটি আবাসিক সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। কিন্তু তার পরেও অন্য স্থানে গিয়ে তাদের ঘরোয়া হোটেল ব্যবসা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।
হাজীগঞ্জ বাজার হোটেল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোরর্শেদ আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দদের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক হায়দার পারভেজ সূজন বলেন, বিষয়টি আমাদের ব্যবসায়ী সমিতিতে লিখিত আকারে অভিযোগ পেলে আমরা সে অনুযায়ী বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করব।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৮:১২ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৬, মোঙ্গলবার
এইউ