মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেছেন, `আগামি ২০ সেপ্টেম্বর থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দু’দিন ক্লাস করতে পারবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধাপে ধাপে সব ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বরিশাল সরকারি কলেজের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কাযক্রম এবং অ্যাসাইনমেন্ট’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন,‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাডেমিক সব কার্যক্রম চালাতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও শিথিলতা বা গাফিলতি প্রশ্রয় দেয়া হবে না। জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি তদারকি করবেন।’
তিনি আরও বলেন,‘করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য সফলতা আসবে বলে আশা করছি।’
অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন,‘এটা নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছে। আমরা শিক্ষদেরকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার। এ ক্ষেত্রে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ফির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ধার্যকৃত টাকা বেতন হিসেবে দিতে হবে। তবে কোও শিক্ষার্থীর সমস্যা থাকলে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়েও আমাদের নির্দেশনা রয়েছে।’
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস, বরিশাল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্বাস উদ্দিন খান,সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল,সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান,বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এহেতেশামুল হক প্রমুখ।
বার্তা কক্ষ, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
এজি