দেশের বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও চাঁদপুরে গত কয়েক দিন ধরে মেঘনা, ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে মেঘনার পানি কখনো বিপদসীমার উপরে কিংবা কখনো নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও চাঁদপুরে বন্যা হওয়ার আশংকা কম দেখছেন স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে নদীর স্রোতধারা বেশি থাকায় চাঁদপুরের কয়েকটি স্থানে নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার জানান, গত ৪/৫ দিন যাবত চাঁদপুরে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সামনে অমাবশ্যা রয়েছে, তবে এতে তেমন কোনো শংকা নেই। কারণ, পানি বিপদসীমার নিচে থাকায় অমাবশ্যার প্রভাবে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও বন্যার কোনো ধরনের শংকা নেই।
বাবুল আখতার জানান, অমাবশ্যা চলাকালে যদি প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং মেঘনার পানির উচ্চতা যদি বৃদ্ধি পায়, আর ওই সময়টি যদি জোয়ার থাকে তাহলে কিছু এলাকা প্লাবিত বা জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে জেলার নিচু এলাকা চরাঞ্চলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তার মতে, দেশের বিভিন্ন স্থানের নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও, এক্ষেত্রে চাঁদপুরের অবস্থান অনেক ভালো পর্যায়ে রয়েছে। এখানকার নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে মেঘনা নদীর উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি প্রবাহের কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর, আলুরবাজার এলাকায় নদীরর্তীবর্তী এলাকায় ভাঙনে কিছু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া সম্প্রতি চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনার তীব্র স্রোতে কয়েকটি স্থানে ফাঁটল দেখা দেয় এবং কিছু ব্লক দেবে যায়। এই ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় তাৎক্ষণিক বালিভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে। বর্তমানে শহর রক্ষা বাঁধের হরিসভা এলাকা ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় রয়েছে।