বাহির থেকে দেখতে সুন্দর হলেও ভিতরে ফাটল আতঙ্ক

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১২২নং পশ্চিম আলীয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভবনের অভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে শিক্ষাতকার্যক্রম। জীবনের ঝুকি নিয়ে জর্ঝাজির্ন টিন সেট ভবনে প্রচন্ড গরমে পর্যাপ্ত ফ্যানের অভাবে পাঠদানে শ্রেণি কক্ষে অস্ততিতে ভোগেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একটু বৃষ্টি হলে, কক্ষের ভিতরে বৃষ্টির পানি পড়ে ক্লাস নেয়ার পরিবেশ থাকেনা। ভবনটি বাহির থেকে দেখতে সুন্দর হলেও ভিতরে ফাটল আতঙ্ক দেখা দেয়ায় ক্লাস নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন শিক্ষকরা।

পুরাতন একটি ভবনে এভাবেই দীর্ঘ বছর ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে চলছে ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পশ্চিম আলীয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এতো সমস্যায় জর্জরিত হয়েও সুনাম ধরে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এতো বছর পরেও শিক্ষক সংকট বিরাজমান প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ৪ জন শিক্ষক। দু’জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।

৫ম শ্রের্নীকে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার ও জিহাদ মিয়াজীসহ আরো অনেকে জানান, ক্লাস করতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। শ্রেণিকক্ষের অভাবে আমাদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আপনারা আমাদের সহযোগীতা করুন। আমাদের বিদ্যালয়ে একটি একাডেমিক ভবন ও ভালো ওয়াশব নাই। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি আধুনিক শিক্ষা হতে আমরা যেন পিছিয়ে না যাই।

শিক্ষার্থী অভিভাবক বাবুল পাটওয়ারী সরকার বলেন, পশ্চিম আলীয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়় একটি ঐতিহ্যবাহী শিশুবিদ্যা প্রতিষ্ঠান। অথচ এ বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নাই। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মান উপযোগী করে গড়ে তুলতে দ্রুত বিদ্যালয়ের জরুরী ভিত্তিতে দু’টি পদে শিক্ষক নিয়োগ ও নতুন একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট্যদের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসিব বলেন, ‘প্রথমে আমি শিক্ষক সংকট নিরসনে জরজরুরী ভিত্তিতে ২টি পদে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। কারন বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পাঠ দানে প্রচুর ব্যঘাত ঘটছে। অপর দিকে আমাদের কে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়। যা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রত্না পাল বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ২টি শিক্ষকের পদ শুন্য, যা বলার ভাষা নেই। বাকী শিক্ষকদের অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়। যা খুব কষ্টের ব্যাপার। এছাড়াও নেই নতুন একাডেমিক ভবন। ফলে বাধ্য হয় পুরাতন টিনশেড মাদ্রাসা রুম ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। ইতি পূর্বে শুন্যপদে শিক্ষকের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে। শীঘ্রই শুন্যপদে শিক্ষক সংকট নিরসন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহীনুর আক্তার মুঠোফোনে জানান, ‘বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণসহ সমস্যা নিরসনে শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’

কচুয়া প্রতিনিধি/ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫