হাসপাতালে ৫৪ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৯ জুন শনিবার রাতে সাড়ে ৮টায় হাসপাতাল থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে করে বিএনপি চেয়ারপারসন গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ ফেরেন।
বাসায় পৌঁছালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও শামীম এস্কান্দার তাকে শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে দুপুরে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করে বাসায় নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে একমত হন। এরপরই তাকে বাসায় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, দুপুরে মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে একমত হয়। সেজন্য তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেন।
গত ২৭ এপ্রিল রাতে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন তার চিকিৎসা চলে।
পোস্ট কোভিড নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এর ছয়দিন পর (৩ মে) শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
পরে অবস্থার উন্নতি হলে এক মাস পর ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন। দুদিন পর তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত ১৪ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। ওই সময় তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তিনি করোনামুক্ত হন ৯ মে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ১৯ জুন ২০২১