পাবনায় সুবর্ণা নদী (২৫) নামের এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার(২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের রাধানগর মহল্লায় তাঁর ভাড়া বাসার সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সুবর্ণা নদী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভিতে কাজ করতেন। তিনি পাবনা থেকে প্রকাশিত গণমাধ্যম ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে তিনি।
ফেসবুকে সুবর্ণার উপস্থিতি ছিল। তাতে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক নিয়ে সমস্যায় ছিলেন তিনি। তবে কী ধরনের সমস্যায় তিনি ছিলেন তার কিছু তিনি বিস্তারিত জানাননি।
গত ১৫ জুলাই একটি সংবাদের লিংক শেয়ার করেন সুবর্ণা; পোস্টটি তার শেয়ার করা সর্বশেষ ক্রাইম রিপোর্ট।
১৫ জুলাই তার ওই পত্রিকায় ‘পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিয়ের প্রলোভনে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদের লিংকটি তিনি ফেসবুকে শেয়ার করেন।
ওই সংবাদে স্থানীয় ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধির বরাত দিয়ে ভাঙ্গুড়ায় এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে (১৪) বছরের এক অষ্টম শ্রেনির ছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করেছে; এমন অভিযোগের খবর প্রকাশ করা হয়ে।
খবরে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পাঁচ বেতুয়ান গ্রামের এক কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী বেতুয়ান ফকিরপাড়া গ্রামের ঘাট মাঝি আবু সাম এর ছেলে সুজনের (২০) প্রেমের সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সুবর্ণার শেয়ার করা ওই খবরে বলা হয়েছে, ‘প্রেমিক সুজন ফোন করে প্রেমিকা কিশোরীকে বিয়ে করবে বলে জানায় এবং কিশোরীকে বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। প্রেমিকের কথা মতো কিশোরী বাড়িতে থাকা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে প্রেমিকের কাছে যায়। এসময় প্রেমিক তার বন্ধু নাঈম ও শাহাবুদ্দিনের সহযোগিতায় পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার বাঘমাড়া বেতকান্দী গ্রামে তার খালার বাড়িতে যায়। এরপর লম্পট প্রেমিক তার খালার বাড়িতে প্রেমিকা কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সারারাত ধর্ষণ করে।
পরদিন সকালে প্রেমিক কাজী ডেকে আনার কথা বলে কিশোরী প্রেমিকার কাছে থাকা ওই টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। পরে প্রেমিকের খালার পরিবার কিশোরীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এটিই ছিল সুবর্ণার সর্বশেষ ক্রাইম রিপোর্ট, যা তার ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছিল। (কালের কন্ঠ)
বার্তা কক্ষ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur