স্বর্ণের চেইন, লেপ-তোশক নিয়ে সেই রিকশাচালক আবুল কালামের বাড়িতে হাজির হলেন ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
রিকশাচালক আবুল কালামের মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কনে জাহেদাকে স্বামীর হাতে তুলে দেন পুলিশ সুপার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপারকে মেয়ের বিয়েতে দেখে কেঁদে ফেলেন রিকশাচালক আবুল কালাম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আবুল কালামের বড় মেয়ে বিবি জাহেদার বিয়ের দিন ঠিক হয় বৃহস্পতিবার। বুধবার ছিল গায়ে হলুদ। মেয়ের বিয়ের জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন পিতা।
গত বুধবার সকালে বিয়ের বাজার করতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি স্বর্ণের চেইন ও আসবাবপত্র কিনেন। দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হোনারবাপের দোকানের সামনে পৌঁছালে তিন যুবক কৌশলে স্বর্ণের চেইন, আসবাবপত্রসহ বাকি টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে খালি হাতে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি জানালে সবাই কালামকে বকাঝকা করেন। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খবরটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিক ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বর্ণের চেইন, লেপ-তোশক নিয়ে রিকশাচালক আবুল কালামের বাড়ি হাজির হন পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, চুরির ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বর্ণের চেইন, লেপ-তোশক নিয়ে রিকশাচালক আবুল কালামের বাড়ি যান পুলিশ সুপার। রিকশাচালকের মেয়ের বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করেন পুলিশ সুপার।
বার্তা কক্ষ