চাঁদপুর

চাঁদপুরে সড়কের দু’পাশ জুড়ে চলছে জমজমাট বালুর ব্যবসা

চাঁদপুরের মহাসড়ক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশ জুড়ে চলছে জমজমাট বালুর ব্যবসা। আর এই অবৈধ বালুর ব্যবসার খেসারত দিচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।

যার ফলে নষ্ট হচ্ছে সড়ক এবং সাধারণ মানুষের চলাচল ও যানবাহনের যাত্রীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে
হচ্ছে। ব্যস্ত সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করার অনুমতি না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে চলছে এই ব্যবসা।

দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসার পরিধি। ফলে একদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারীরা অন্যদিকে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনায় পড়ছে বিভিন্ন যানবাহন।

চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর,হাজীগঞ্জ,রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, সদর উপজেলার বালিয়া,বাগড়া বাজার, হাজীগঞ্জ ব্রিজের কাছে রামগঞ্জ সড়ক-মহাসড়কের দু’পাশ জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অনেক অবৈধ বালুর ব্যবসা। সড়ক-মহাসড়কের পাশে কিংবা ব্যক্তিগত জমির ওপর এসব ব্যবসা গড়ে তোলা হলেও প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদফতর থেকে নেয়া হয়নি কোনো ধরনের অনুমতিপত্র।

শুধুমাত্র চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ সড়কের সাপদী, বাগাদী, গাছতলা, ঢালিরঘাট এলাকায়ও গড়ে উঠেছে অন্তত ১০টি বালু ব্যবসার কেন্দ্র। সড়কের পাশে বালু স্তূপ করে রাখায় সারাক্ষণই বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে বালু।

তাছাড়া সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসীকেও। এতে করে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের চোখে মুখে ঢুকে পড়ে বালু। আর প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এমনকি দুর্ঘটনায় প্রাণও হারাচ্ছে মানুষ।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, সড়কের পাশে বালু ব্যবসায় গড়ে তোলায় আমাদের স্কুলে যাওয়া আসার পথে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাতাসে বালু উড়ে আমাদের চোখে মুখে যায়। এতে করে আমরা সর্দি-কাশিসহ নানা শ্বাসজনিত রোগে ভুগতে হচ্ছে। আমরা সড়কের পাশে অবৈধ এই বালু ব্যবসা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

বর্তমানে শুধুমাত্র চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহসড়কসহ জেলার আট উপজেলার শতাধিক স্থানে সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বালুর ব্যবসা। প্রশাসনের ভূমিকা না থাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরাতো কারো ক্ষতি করছি না। আমরা সকালেই বালুতে পানি দিচ্ছি এবং সড়কের অনেক দূরে বালুস্তুপ করছি।

প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নাজিম হোসেন শেখ বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করব।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করা ঝুঁকিপূর্ণসহ পরিবেশ ও সাধারণ লোকজনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমরা আগেও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২৮ এপ্রিল ২০২১

Share