হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে সড়কের পাশ জুড়ে চলছে জমজমাট বালুর ব্যবসা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মহাসড়ক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশ জুড়ে চলছে জমজমাট বালুর ব্যবসা। আর এই অবৈধ বালুর ব্যবসার খেসারত দিচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।

যার ফলে নষ্ট হচ্ছে সড়ক এবং সাধারণ মানুষের চলাচল ও যানবাহনের যাত্রীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে
হচ্ছে। ব্যস্ত সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করার অনুমতি না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে চলছে এই ব্যবসা।

দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ এই ব্যবসার পরিধি। ফলে একদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারীরা অন্যদিকে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনায় পড়ছে বিভিন্ন যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বড় ব্রিজের কাছে দু’পাশ জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় ১৮/২০ টি অবৈধ বালুর ব্যবসা।

তাছাড়া ডাকাতিয়া নদীর দুই পাশ জুড়ে, বাকিলা, বলাখাল,সমেশপুর,ধেররা, হাজীগঞ্জ পশ্চিমঘাট, আলীগঞ্জ, এনায়েতপুরসহ অন্যান্য যানবাহনের দুই পাশ মিলে পায় এই উপজেলায় নামে বে-নামে অধ্যশত অবৈধ বালুর ঘাট রয়েছে।

এসব স্থানে ডাকাতিয়া নদী দিয়ে ট্রলার ও কার্গো যোগে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ লক্ষ ফুট বালু মওজুদ হচ্ছে। আর এইসব বালু বৈধ ও অবৈধ ছোটবড় ট্রাক, পিকাপ ভ্যানে দূর দূরান্তে পারাপার হচ্ছে।

প্রতিযোগিতার বাজারে সড়কে চলাচলরত বালুবাহী ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা।

বিশেষ করে সড়কের পাশে বালু স্তূপ করে রাখায় সারাক্ষণই বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে বালু।

সড়ক-মহাসড়কের পাশে কিংবা ব্যক্তিগত জমির ওপর এসব ব্যবসা গড়ে তোলা হলেও প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদফতর থেকে নেয়া হয়নি কোনো ধরনের অনুমতিপত্র।

তাছাড়া সড়কের পাশে বালুর ব্যবসা করায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসীকেও। এতে করে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের চোখে মুখে ঢুকে পড়ে বালু। আর প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এমনকি দুর্ঘটনায় প্রাণও হারাচ্ছে মানুষ।

হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের সিএনজি চালক, আ. ছাত্তার, মজিব, খোকন এবং যাত্রী হুমায়ুন কবির বলেন, এই সড়কে ছোট বড় যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি স্বীকার হতে হয়। বালুবাহী ট্রাকের উপর পর্দা না থাকায় উড়ো বালু চালক ও যাত্রীদের চোঁখে ডুকে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কখনো পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, জনসাধারণের চলাচলের পথে এ ধরনের ক্ষতি হবে তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অচিরেই এসব বালু ব্যবসায়ীদের অবস্থান নিরুপম করে যথাযত পদক্ষেপ গ্রহনে কাজ করবো।

প্রতিবেদকঃজহিরুল ইসলাম জয়

Share