চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান রফিক উল্ল্যা পাটওয়ারী কে তার কক্ষে না পেয়ে পাগলামি শুরু করে মোঃ রাসেল গাজী। গ্রাম পুলিশ সদস্যরা উত্তম-মধ্যম বেত্রাঘাত করে পরিস্থিতি শান্ত করে রাসেল কে হলরুমে আটকে রাখে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে রাসেল মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী বলে দাবী করেন।
বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
মোঃ রাসেল গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দূর্গাদী গ্রামের খাজে আহম্মদ গাজীর ছেলে। তার পিতাও একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল গ্রাম আদালতে মোঃ রাসেল গাজীর মা মনোয়ার বেগম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার বড় ছেলে বিল্লাল গাজী মানসিক ভারসাম্যহীন পিতা কে চাঁদপুর রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি আত্মসাৎ করে। যার ফলে মনোয়ারা বেগম ও তার ৪ মেয়ে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়।
পরে গ্রাম আদালতের বিচারক ২২ মে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে কেউ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
মোঃ রাসেল গাজী জানায়, আমার মা বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করছে। চেয়ারম্যান কে ৩ দিন এসে রুমে পাই না। তিনি কিসের চেয়ারম্যান, জনগনের সেবা করে না, রুমে থাকে না, মামলার তারিখও দেয় না। তাই আমি দরজার বাহিরের চেয়ারম্যান লেখা বোর্ডটা খুলে ফেলি। গ্রাম পুলিশরা আমাকে মারধর করে, গেঞ্জি ছিড়ে ফলছে এবং রুমের দরজা বন্ধ করে আটকে রাখছে। বড় ভাই বিল্লাল ও মামুন আমার জায়গা দখল করে রাখছে।
তার বড় ভাই মামুন জানান, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ঢালী ছোট ভাই রাসেল কে মানসিক রোগী হিসেবে পরিষদ থেকে প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছেন।
বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উল্ল্যা পাটওয়ারী জানান, আমি উপজেলা মাসিক মিটিং এ ছিলাম। পরে পরিষদে একজন হট্টগোল করছে বলে আমি জানতে পাই। গ্রাম আদালতে তার মা ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। হয়তো কেউ তাকে ইন্দন দিয়েছে। তবে সে মানসিক রোগী বলে জানতে পারি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২৫ আগস্ট ২০২২