বার্ষিক পরীক্ষার ফি বাবত টাকা আদায় করতে পারবে না : ফাতেমা মেহের ইয়াসমীন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ১৯ নভেম্বর চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমীন বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই পরীক্ষার ফি বাবত কোনো শিক্ষার্থীগণের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারবে না। প্রশ্ন ও কাগজ ক্রয় খরচ সরকার প্রদত্ত বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত বা স্লিপ ফান্ড থেকে সমন্বয় করতে নির্দেশ দেয়া আছে। তাই ফি বাবত টাকা গ্রহণ করা যাবে না । ’

সারাদেশের ন্যায় আজ চাঁদপুরের ৮ উপজেলার ১ হাজার ১শ ৫৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পরীক্ষা হচ্ছে । এতে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির হবে মূল্যায়ন ও ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির হবে বার্ষিক পরীক্ষা। ১১-১২ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। দেশের প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পরীক্ষার সময়সূচি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। চাঁদপুরে এতে শিক্ষার্থী প্রায় ৩ লাখ। মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের থেকে ফি গ্রহণ করা যাবে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করতে হবে।

প্রশ্নপত্র প্রিন্ট বা ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত বা স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে। সূচি অনুযায়ী আজ ২ ডিসেম্বর সোমাবার থেকে এ মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার নভেম্বরের প্রথমদিকে পরীক্ষা সংক্রান্ত এ নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।

প্রাপ্ত তথ্য মতে-প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে মূল্যায়ন: নির্দেশনা অনুযায়ী,প্রাক প্রাথমিক পর্যায় প্লে,নার্সারি ও কেজি এবং প্রাথমিকের প্রথম ও ২য় শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে। প্রাথমিক স্তরের পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। প্রাথমিকে শিক্ষা অধিদপ্তর মূল্যায়ন নির্দেশনায় জানিয়েছে, প্রথম শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকার শেষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা সংযুক্ত রয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটেও এ নির্দেশিকাটি আপলোড করা আছে বরে জানা গেছে। এছাড়াও শিক্ষকদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি বিষয়ের শিখনফল বা অর্জন উপযোগী যোগ্যতার নম্বর উল্লেখ পূর্বক শিক্ষক ডায়েরি-১ এবং শিক্ষক ডায়েরি-২ নামে ২টি এমএস ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফাইল ওই ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও শিক্ষকরা ওই ফাইল ডাউনলোড করে নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এবং প্রতি প্রান্তিকে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি প্রতিবেদন তৈরি করে তাদের দিতে করতে পারবেন।

তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা : তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে,সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে বিষয় শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখনক্ষেত্র বিবেচনায় বিদ্যালয়,ক্লাস্টার বা উপজেলা ভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। ২০-২২ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন ফলাফল ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

আবদুল গনি
চাঁদপুর টাইমস
১ ডিসেম্বর ২০২৪
এজি

Share