চাঁদপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নাজির পাড়া শাখা (কলেজের সামনে) রূপালী ব্যাংক কর্তৃক ফরম পিলাফের টাকা থেকে বারতি টাকা রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ১৫ জন শিক্ষার্থী একসাথে অনার্স ৩য় বর্ষের ফরম ফিলাপের ৪ হাজার ৬শ’ ৬২ টাকা ব্যাংক ড্রাফ করতে গেলে ১৫ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন শিক্ষার্থী খুচরা টাকা না থাকায় বারতি টাকা জমা দেয়। কিন্তু ব্যাংকের কর্তব্যরত এক নারী কেশিয়ার প্রতিজনের কাছ থেকে ৩০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বারতি টাকা কেটে রাখে।
রূপালী ব্যাংকের কেশিয়ার জানান, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে বলা হয়েছে, তারা যেনো খুচরা টাকা করে ব্যাংক ড্রাফ করে কিন্তু তারা বড় নোট দেওয়ার কারনে আমরা খুচরা টাকা দিতে পারছি না। এছাড়া ব্যাংকের দেয়ালে ভাংতি টাকা দেওয়ার জন্য লিফলেট টানানো হয়েছে। যে পরিমান শিক্ষার্থী একসাথে টাকা জমা দিতে আসে, তাতে আমাদের ভুল হতেই পারে। আমাদেরকে ভাংতি টাকা না থাকলে ৫-১০টাকা আমরা শিক্ষার্থীদেরকে কম দেই।
এদিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগ ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা একই অভিযোগ করেন ব্যাংক কেশিয়ারদের প্রতি।
অনেক শিক্ষার্থী টাকা কম দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তাদের সাথে অশোভন আচরণ করে ব্যাংক কেশিয়ার। তাছাড়া অনেকের ব্যাংক ড্রাফের ফরম ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জনান, তারা আমাদের সাথে যে আচরণ করে তা খুবই দু:খজনক। তাদের কিছু বললে ফরম নিতে চায় না। ছুড়ে ফেলে দেয়। আমরা বারতি কোন ঝামেলায় যেতে চাই না বলে কারো কাছে কোন অভিযোগ করিনি।
এ বিষয়ে নাজির পাড়া শাখার রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার নন্দিতা কর বলেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বারতি টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ করেছে, এর আগে কোন শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করেনি। হয়তো ভাংকি টাকা না থাকলে ৫টাকা কম দিতে পারে কিন্তু ৩০ টাকা কম দেওয়া তা হতে পারে না। যারা এমন অভিযোগ করেছে, তারা আমার কাছে এসে বললে আমি ভুল-ভ্রান্তি দেখে তাদের টাকা ফিরত দিয়ে দিবো।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১ : ৩০ এএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, বুধবার
এইউ