বাবুরহাটে ওচমানের মিনি বাসের ধাক্কায় মালেক গাজী মৃত্যুশয্যায়

চাঁদপুর পৌর ১৪ নং ওয়ার্ডের বাবুরহাট-মৈশাদী সড়কের শিলন্দীয়া হারুন খানের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে বেপরোয়া গতির গাড়ি চালক ওচমান গাজীর মিনি বাসের ধাক্কায় মালেক গাজী মৃত্যুশয্যায়।

ঘটনাটি ঘটে ২১ জুন বুধবার সন্ধায় বাবুরহাট মৈশাদী সড়কের শিলন্দীয়া হারুন খান এর বাড়ি সংলগ্ন স্থানে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী থেকে জানা যায় মৈশাদী ১নং ওয়ার্ডের শেখ বাড়ির মোঃ কালাম গাজী (৪৮) এক জন দিন মজুর।কাজের মজুরির জন্য সে সন্ধায় সাইকেল করে হারুন খানের বাড়ি নিকট আসে। অপরদিকে মৈশাদী ৩ নং ওয়ার্ড গাজীর বাড়ির ওচমান গাজী বাবুরহাট বিসিক স্টাফদের তার মিনি বাসে করে আনা নেওয়া করে। স্টাফদের নামিয়ে সন্ধায় গাড়ি নিয়ে দ্রুতগতিতে নিজ বাড়ি আসার পথে মোড় পাড় হতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেল আরোহিত কালামের উপর দিয়ে মিনি বাসটি উঠে দেয়। মিনি বাসের ধাক্কায় কালাম গাজী পড়ে গিয়ে মাথা , মুখ সহ শরীলের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। এতে করে কালাম গাজী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। স্থানীয়রা মিনি বাসটি আটক করে চালক ওচমান গাজী সহ কালাম গাজীকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন।

ঘটনার কিছুক্ষণ পর এলাকাবাসী চাঁদপুর সদর মডেল থানা কে অবগত করলে চাঁদপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক মেহেরাজ ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসেন। এসময় পুলিশ গাড়ি না নেওয়ার জন্য এলাকার কিছু লোক ওচমান গাজী পক্ষে তদবির করতে আসে।

২২ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে কালাম গাজী’র বড় ভাই জয়নাল গাজী’র স্ত্রী ও বাড়ির লোকজন জানান কালাম গাজী একজন দিনমজুর। তার ২ টা ছেলে। বহু কষ্টে সংসার চলে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে কয়েক ঘন্টা থাকলেও টাকার অভাবে তাও বন্ধ হয়ে যায়। সে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেনা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অপারেশন করার জন্য দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা লাগতেছে। এত টাকা আমরা কোথায় থেকে দিবো? এই কয় দিনেই আমাদের প্রায় দুই লক্ষ টাকা শেষ। ঘাতক ড্রাইভার ওচমান সাথে গেলেও কালামের অবস্থা খারাপ দেখে পালিয়ে যায়। তারা কোন সহযোগিতা করে নাই। আমরা এর বিচার চাই, বিচার চাই।

প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,২৪ জুন ২০২৩

Share