মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে আসাদুল্লাহিল গালিব (১৮)। বাবার সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি একটি মসজিদের ইমামতি করতে চাকরি দেন বাবা। বাবার নাম শাহ আকবর।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে আবদুল আল মামুনকে আটক করা হয়।(খবর যুগান্তর)
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে অবস্থিত র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মলে হক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য মামুনসহ চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটক মামুন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর (দ.) ইউনিয়নের পয়ালজোস গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার দেয়া ইমামতি চাকরি দুই মাস আগে ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে যায় সে।
বাবা-ছেলে একই উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ধড্ডা গ্রামের দুইটি মসজিদে ইমামতি করতেন।
পয়ালজোস গ্রামের ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, ইমাম শাহ আকবরের তিন ছেলে। মামুন দ্বিতীয় ছেলে। শাহ আকবরের তিন ছেলের সবাই পড়াশোনা করে। মামুনকে এলাকায় কম দেখা যেত। বাবার সঙ্গেই কর্মস্থলে থাকত বলে জানি।
হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন লিটু বলেন, মামুন ধড্ডা আল আকসা জামে মসজিদে ইমামতি করত। তার বাবা শাহ আকবর ওই গ্রামের সফরউদ্দিন মিজিবাড়ি জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। দুই মাস আগে তিনি চাকরি ছাড়েন।
গ্রেফতারকৃত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অন্য সদস্যরা হল- ঢাকার মোহাম্মদ আরিফুল করিম চৌধুরী ওরফে আদনান চৌধুরী (৩৮), নোয়াখালীর মো. মেহেদী হাসান শাকিল ওরফে বাবু (২০) ও মাগুরার মো. নাজমুল হাসান (২৯)।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একটি দল শাহআলী থানাধীন রাইনখোলা ঈদগাহ মাঠ এলাকায় জমায়েত হয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের দেহ ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে জঙ্গি সংগঠনের বই, লিফলেটসহ উগ্রবাদী ডিজিটাল সামগ্রী পাওয়া যায়।
বার্তা কক্ষ