মহান আল্লাহ্’র সন্তুষ্টি অর্জনে ইমান ও আমলকে মজবুত করার লক্ষে চাঁদপুরে তিন দিনব্যাপি তাবলীগ জামাতের আঞ্চলিক ইজতিমা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে বয়ানের মাধ্যমে ইজতিমার কার্যক্রম শুরু হয়। অ
আগামি ২ ডিসেম্বর আখেরী মোনাজাতের মধ্যমে ইজতিমা সমাপ্তি হবে। এ তিন দিন তাবলীগ জামাতের চাঁদপুর এবং কাকরাইল মারকাজের মুরব্বিদের তত্ত¡াবধানে বাদ ফজর, যোহর, আছর ও মাগরীব এ চার ধাপে বয়ান হবে।
সমাপনি দিনে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি। বুধবার সকাল থেকেই নদী ও সড়ক পথে জেলা বিভিন্নস্থান থেকে লক্ষ লক্ষ মুসল্লি মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনে ইজতিমা মাঠে আসতে শুরু করেন। ইজতিমা উপলক্ষে পুরাণবাজারের জাফরাবাদ ও দোকানঘরসহ আশপাশের এলাকায় ভিন্নরকম এক ধর্মীয় পরিবেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইজতিমা মাঠের আশপাশ জুরে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্যের দোকান সাজিয়ে বসেছে।
জানা যায় বিশ্ব ইজতিমার তত্ত্ববধানে এই প্রথমবারের মতো চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার জাফরাবাদ এমদাদিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মেঘনাপাড়ে ইজতিমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখানে ৪/৫ লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা। ইজতিমা উপলক্ষে মেঘনা নদীতীরে ৪০একর জমিতে এরইমধ্যেই ইজতিমার প্যান্ডেল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গত ১ মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ৪/৫শ’ লোক স্বেচ্ছাশ্রমে প্যান্ডেলসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ কাজে সহয়োগিতা করেছেন। আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথিদের থাকার জন্যে আলাদা প্যান্ডেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া মুসল্লিদের গোসল, ওযুর ব্যবস্থা এবং ৮শ’ টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।
ইজতিমা মাঠের আমির হাজী আরিফুল্লাহ সহ তাবলীগ জামাতের স্থানীয় মুরব্বিরা জানান, মানুষের ইমান ও আমলকে মজবুত করার উদ্দেশ্য নিয়ে ইজতিমার আয়োজন। জিন্দেগির উদ্দেশ্য কিী, আল্লাহ কেন মানুষকে দুনিয়াতে পাঠালেন এবং দুনিয়া ও আখেরাত এ সব বিষয় সামনে রেখে তাবলীগ জামাতের চাঁদপুর মারকাস ও কাকরাইল মারকাসের তত্ত¡াবধানে ইজতিমার কার্যক্রম চলবে। আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে আখিরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতিমা শেষ হবে। ইজতিমার প্রধান সমন্বয়কারির দায়িত্বে রয়েছেন মাওলানা আব্দুর রশিদ।
এদিকে ইজতেমায় মুসুল্লিদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানালেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
এ বিষয়ে ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে পুরাণবাজার মধূসুধন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করেন। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ইজতিমার সার্বিক নিয়রাপত্তায় র্যাব, ডিবি, ডিএসবি, এসএসএফ সহ পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকের প্রায় ৪ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবে।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুর সবুর মন্ডল জানালেন, তারা সার্বক্ষণিক ইজতেমার কাজ মনিটরিং করছেন। শানিপূর্ণভাবে এই ইজতেমা অনুষ্ঠানে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, টঙ্গির বিশ্ব ইজতিমার আওতায় এ বছর দেশের ৩২ জেলায় আলাদাভাবে জেলাভিত্তিক ইজতিমার আয়োজন করা হয়েছে। চাঁদপুরে ইজতেমার আয়োজন করায় জেলার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। মাঠের আশপাশে বসবাসরত বাসিন্দারাও যার যার সাধ্যমত প্যান্ডেল নির্মাণে সহায়তা করেছেন।
আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:১০ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ