বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০১৫ ১১:৫০ অপরাহ্ন
কামাল হোসেন খান, মতলব (চাঁদপুর) :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর-চরকালিপুর (গজারিয়া) মেঘনা নদীতে নতুন ফেরী সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর মায়া বীর বিক্রম ফেরীঘাটের শুভ উদ্ধোধন করেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মো. শাহাজান খান এমপি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে কালিপুর ফেরীঘাট সংলগ্ন স্থানে জনসভা করতে না পেরে উপজেলার লালপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও আ’লীগ নেতা একেএম সফিক উল্যাহ সরকারের বাসভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খান এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা লাভের পর থেকেই দেশের মানুষের সেবা দেবার জন্য বহু জায়গায় ইজারা প্রথা বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক আগামী জুলাই থেকে দেশের সকল ফেরী সার্ভিস ব্যক্তি খাতে ইজারা প্রথা বাতিল হচ্ছে। তার কারণ এই ইজারা প্রথা চালু থাকার কারণে দেশের সাধারণ মানুষ জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়। সে জুলুম-নির্যাতন বন্ধে সরকার এ উদ্যোগটি গ্রহণ করে। এই উদ্যোগের ফলে সাধার মানুষ আর জুলুম নির্যাতনের শিকার হবে না। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য হলো দেশের সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়া। আর সেই লক্ষেই সরকার কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম নৌ-পরিবহন মন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় ১৯৯৬-২০০১ সালে এই মতলবের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সেবা দেবার লক্ষ্যে মতলবের একটি ফেরী সার্ভিস চালু করেছিলে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এই ফেরী সার্ভিসটি বন্ধ করে দেয়। আবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়া চৌধুরী এমপি এবং মন্ত্রী হয়ে মতলবের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে তারই অনুরোধে পুনরায় এ ফেরী সার্ভিসটি চালু করা হলো। এর ফলে এ এলাকার মানুষর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
তিনি আরো বলেন, মায়া চৌধুরী যে মতলবের মানুষকে এতো ভালোবাসেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি সবসময় মতলবের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন। তার মতো দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা যদি প্রত্যেক এলাকায় থাকতো তাহলে অবশ্যই এ দেশটা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠতো। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খান আরো বলেন, নৌ পথেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন। তিনি খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনি বিগত দিনে ক্ষমতায় থেকে দেশের কি উন্নয়ন করেছেন। কোন উন্নয়ন কাজ আমাদের চোখে পড়েনি। আর আমাদের আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বোচ্চ উন্নয়ন করেছেন। যা বিগত কোন দল করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মোদি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশংসা করেছেন এতেই বিএনপির গাত্রদাহ। তিনি সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে বিএনপিকে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সাধারণ মানুষ জানে আ’লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের দোরগোড়ায় ক্ষমতা চলে আসে।
ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আরো বলেন, আমি ১৯৯৬ -২০০১ সালে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালিন অবস্থায় মতলবের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা চেন্তা করে ফেরী সার্ভিসটি চালু করেছিলাম। বিএনপি ক্ষমতায় এসে সে ফেরী সার্ভিসটি বন্ধ করে দেয়। সেদিন যদি এ ফেরী সার্ভিসটি বন্ধ না হতো তাহলে মতলবের মানুষ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত। আজকে নতুন করে এ ফেরী সার্ভিস চালুর প্রয়োজন হতো না। এতেই প্রমাণ করে আ’লীগ যে কাজ হাতে নেবে তা শেষ করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টসহ দেশে সবচেয়ে বেশী উন্নয়নের অংশীদার শেখ হাসিনার সরকার। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর চেষ্টা করলেও জনগণ তা মেনে নেবে না।
তিনি আরো বলেন, মতলব-গজারিয়া ফেরী সার্ভিস চালু হয়েছে এখন মাত্র ১ ঘন্টায় মতলবের মানুষ ঢাকায় যেতে পারবে। সকালে ঢাকায় গিয়ে অফিস করবে, আবার বিকেলে বাড়ি ফিরে যাবে। মতলব উত্তর উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান আরো বেড়ে গেল। এখন গজারিয়া-মতলব সেতু বন্ধন তৈরি হলো। মায়া চৌধুরী এ ফেরী সার্ভিসটি চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খান, মুন্সীগঞ্জ সদর আসনের এমপি মৃনালকান্তি দাস, গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্যাহ খান তোতা ও বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তা আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, গজারিয়াা এলাকার এমপি এবং চেয়ারম্যানদের সার্বিক সহযোগিতায় এ ফেরী সার্ভিসটি রমজানের আগে চালু করা সম্ভব হয়েছে। নতুবা সম্ভব হতো না। তবে এখনো অনেক কাজ বাকী রয়েছে, যা আমি আমার মন্ত্রাণালয় থেকেও বিশেষ উদ্যোাগ গ্রহণ করে গজারিয়া জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা হবে।
এসময় বাংলাদেশ আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য মৃনাল কান্দি দাস, জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন, শিল্পপতি মো. শাহজাহান শিকদার, বাংলাদেশ আ’লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ত্রাণমন্ত্রী মায়া চৌধুরীর পুত্র মোঃ রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, আ্যাড. আলহাজ্ব নুরুল আমিন রুহুল, চাঁদপুর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ মঞ্জু, মতলব উত্তর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক চৌধুরী বাবুল, আ’লীগ নেতা একেএম সফিক উল্যাহ সরকার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফা আক্তার, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল আলম জর্জ, মতলব দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, উপজেলা আ’রীগেরযুগ্ন-সম্পাদক মোঃ আইয়ুব আলী গাজী, ত্রাণমন্ত্রী মায়া চৌধুরীর পিএস বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তমিজ উদ্দিন, মতলব উত্তর থানার ওসি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ছেংগারচর পৌর আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মনির হোসেন বেপারী, সাধারণ সম্পাক মোঃ আতাউর রহমান ঢালী, এখলাছপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দে হোসেন মুরাদ,আ’লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, ষাটনল ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ষাটন ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্যাহ সরকার, আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হানিফ সরকার, বাগানবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নান্নু মিয়া, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, সাদুর্যাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জোবায়ের আজিম স্বপন পাঠান, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কাদের মোল্লা, মতলব উত্তর উপজেলা আ’লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম জমাদার, আ’লীগ নেতা মোঃ জাফরিন চৌধুরী, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী লায়ন ফারুক আহম্মেদ (তিতাস),মতলব উত্তর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাজী শরীফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সলিম উল্যাহ বারি চৌধুরী সোহেল, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির খান, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শাহজাহান সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মিয়া, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ জহির রায়হান ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাজ্বী রুহুল আমিন মোল্লা, ষাটনল ইউনিয়ন আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ আলী মিয়াজী, ষাটনল ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি মোঃ মাহাবুব মোল্লা, আ’লীগ নেতা মোঃ আমান উল্যাহ সরকার, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আব্দুর রব, মতলব ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদরে সাবেক জিএস মোঃ রহমত উল্যাহ চৌধুরী, মতলব উত্তর উপজেলা স্বেচ্ছসেবকলীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, সদস্য সচিব অ্যাড আক্তারুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ খসরু ঢালী, কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আঃ ছোবান সরকার সুভা মেম্বার, ষাটনল ইউপি সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ নাছির উদ্দিন, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সদসস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, চেংগারচর পৌর ছাত্ররীগের সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু, ছেংগারচর পৌর যুবলীগ নেতা মোঃ নাজমুল খান, ষাটনল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম মিজান, মোঃ সালা উদ্দিন আবির প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।