টানা বর্ষণে খেত ও ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একাধিকবার বিজ বপন করেও রাখতে পারেনি। দিশেহারা হয়ে নিজ বাড়ির উঠোনেই আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন দুই ভাই শফিক ও মখলেছ খলিফা। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চররামপুর গ্রামের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক শফিক খলিফা বলেন, বীজ তিনবার ফেলেছি। পানিতে পঁচে গেছে। বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের খেলার উঠোন কুপিয়ে বীজতলা তৈরী করেছি। মুখলেছ খলিফা বলেন, তিনবার বীজ নষ্টের পর আবারো দুই ভাই মিলে ৩৪ কেজি বীজধান ক্রয় করে বাড়ির উঠোনে রপন করেছি। সরকার কিংবা কোন সংগঠন আমাদের সহযোগিতায় আসেনি।
রিয়াদ নামের আরো এক কৃষক বলেন, আমরা তিন/চার বার বীজবপন করে বন্যার কারণে মার খেয়েছি। নিরুপায় হয়ে অবশেষে বাড়ির উঠোনে বীজতলা করেছি। দূর থেকে পানি টেনে প্রতিদিন সেচ দিতে হয়। কৃষি অফিসের কোন সহযোগিতা কিংবা পরামর্শ আমরা পাইনি।
আবুল বাশার নামের অপর এক কৃষক বলেন, আমার ৭২ বছর জীবনে কখনো বাড়ির উঠোনে বীজবপন করে চারা উৎপাদন করতে দেখিনি। এ বছর পানিতে সব তলিয়ে গেছে। তাই বাড়িতে আমরা চারা তৈরী করেছি। পানি কমলে মাঠে বপন করা হবে। এখন সময়ও শেষ। তারপরও আমরা আশা ভরসা করে চারা উৎপাদন করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে আমরা কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। কোন কৃষক সহযোগিতা বঞ্চিত হলে আমরা তথ্য সংগ্রহ করে তাদের পাশে দাঁড়াবো।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪