বাজেটে কোনো চমক নেই বলে দাবি করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম। সোমবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সকাল ১১টা ১০ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে বৃহত্তর বাজেট দিয়েছেন। বাজেটের মোট আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। বাজেটে আয়-ব্যয়ের ঘাটতি ধরা হয়েছে ৯২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া যার পরিমাণ হবে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এত বড় ঘাটতি নিয়ে বাজেটের অর্থায়নের বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
তিনি বলেন, সীমিত সম্পদের এ দেশে ঘাটতি মেটাতে সরকারকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। বিশাল এই বাজেট কিভাবে বাস্তবায়িত হবে, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী তা স্পষ্ট করেননি।
বাজেটে ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কিভাবে তা অর্জিত হবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। সার্বিক বিশ্লেষণে বলা যায়, এই বাজেটে কোনো চমক নেই। বাজেট বাস্তবায়নের কোনো পথ দেখছেন না তাজুল ইসলাম।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দেয়ায় অর্থমন্ত্রী ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু আমরা কি শিক্ষার মান বাড়াতে পারছি? দিন দিন শিক্ষার মান কমছে। যারা জিপিএ ৫ পেয়েছে তারা বলতে পারে না দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম, দেশের রাষ্ট্রপতির নাম, বলতে পারে না রাজধানীর নাম। শিক্ষার মান না বাড়ালে সব কিছুই নষ্ট হয়ে যাবে।’
পাউরুটি, বনরুটি, হাতে তৈরি বিস্কুট, প্লাস্টিক জুতা, হার্ডবোর্ড, বৈদ্যুতিক জেনারেটর, মোবাইল ফোন, বিজ্ঞাপন, ঢাকা-চট্টগ্রাম নগরীর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভ্যাট আরোপের সমালোচনা করেন তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগের জন্য কোনো সুখবর নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় শেয়ারবাজারকে ফটকাবাজি অভিহিত করেছেন, আর ফটকাবাজির অবসান হলে বাজার জেগে উঠবে। কিন্তু কিভাবে শেয়ারবাজারে ফটকাবাজির অবসান ঘটবে সে বিষয়ে তিনি সুস্পষ্ট করে বলেননি। এ জন্য সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সুশাসন ও আর্থিক শৃঙ্খলার নিশ্চয়তা দিতে না পারলে বাজেট বাস্তবায়নের কোনো সম্ভাবনা নেই। দুর্নীতি বন্ধ করে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলেই এটি বাস্তাবায়ন সম্ভব।’