রাজধানীর বাজারে নতুন করে নয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এগুলো হচ্ছে : ভোজ্যতেল, ডাল, রসুন, আদা, তেজপাতা, মাছ, মাংস, গুঁড়া দুধ ও আয়োডিনযুক্ত লবণ। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্য ভোক্তাকে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে। দাম বৃদ্ধির চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্যতালিকায়ও দেখা গেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিন ও পামের দাম বেড়েছে। খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১১৮-১২২ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন পাঁচ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ টাকা, আগের সপ্তাহে ছিল ৬৬৫ টাকা। পাম তেলের মধ্যে খোলা প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ১০৮ টাকা।
রাজধানীর নয়াবাজারের মুদি দোকানি মো তুহিন জানান, মিলগেট থেকে আবার তেলের দাম বাড়িয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারে। আর পাইকারি বাজার থেকে বেশি দরে তেল কিনতে হচ্ছে। যে কারণে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে ডালের দামও বেড়েছে। তুরস্ক ও কানাডা থেকে আমদানি করা মাঝারি দানার মসুরের ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা, এক সপ্তাহ আগে এটি ছিল ৯০ টাকা। অ্যাঙ্কর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ৪৮ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। এ ছাড়া আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৪০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ১০০-১২৫ টাকা। আমদানি করা আদা প্রতিকেজি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০ টাকা। প্রতিকেজি তেজপাতা ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আয়োডিনযুক্ত লবণ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, সাত দিন আগেও ছিল ২৫-৩৫ টাকা। গুঁড়াদুধের মধ্যে ডানো প্রতিকেজি ৬৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬২০ টাকা। এ ছাড়া ফ্রেশ গুঁড়াদুধ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ৫৬০ টাকা।
রাজধানীর কাওরানবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. আবু সালেহ জানান, বাজারে সব ধরনের পণ্য বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম সাত দিনের ব্যবধানে বেড়েছে। ফলে এই বেসামাল পরিস্থিতিতে আয়ের তুলনায় ব্যয় নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হচ্ছে। করোনাকালে আয় কমেছে, ব্যয় করতে হচ্ছে বেশি। বাড়তি টাকার জোগান আসছে না।
বাজারে এদিন মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ২৩০-৩৪০ টাকা। প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০-১৫০০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০-১৪০০ টাকা। সাত দিন আগে প্রতিকেজি গরুর মাংস সর্বনিম্ন ৫৬০ টাকায় পাওয়া গেলেও এদিন ৫৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দেশি মুরগির কেজি ৪৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সাত দিন আগে ছিল ৪৫০ টাকা। তবে এদিন ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৩৫ টাকা, সাত দিন আগে যা ছিল ১৪৫-১৫০ টাকা।-যুগান্তর
অনলাইন ডেস্ক,২১ মে ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur