ডেস্ক:
চিতার মুখে স্ত্রী, হেলদোল নেই স্বামীর। বরং, ‘সাহসী’ স্ত্রীর দুঃসাহসী ছবি তোলার নেশাতেই তখন তিনি বুঁদ। এতটাই বুঁদ, বুঝেও বুঝতে পারেননি পরবর্তী কয়েক মিনিটের মধ্যে কী ঘটতে চলেছে। ‘নিরীহ’ বলে যাদের দাবি করে থাকে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ, সেই চিতারা যে খেপে গিয়ে আক্রমণ করতে পারে, তা সম্ভবত ওই মহিলারও ধারণার অতীত ছিল। তা হলে, বোধহয় সেই স্পর্ধা দেখাতেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার কারগা কাম্মা গেম পার্কে গেলে দেখা যাবে মার্ক ও মন্টিকে। রীতিমতো সেলেব এই দুই চিতা। কারগা কাম্মা পার্কে আসা পর্যটকেরা এদের সঙ্গে ছবি তুলতে পারলে আহ্লাদে আটখানা হন। চিতার সঙ্গে ছবি তুলতে উত্সাহিত করেন পার্কের কর্মীরা। তাঁরা তো বলেন, ওরা খুব ভালো। পোষা তো। কাউকে কামড়ায় না।
সেই ভরসাতেই স্কটিশ দম্পতি গিয়েছিলেন চিতার সঙ্গে ছবি তুলতে। ওই দিন আবার স্ত্রী ভায়োলেট ডি’মেলোর জন্মদিন ছিল। তাই, দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে একটু ‘সাহসী’ হয়ে পড়েন তারা। ফটাফট কয়েকটা শট নেয়ার মুহূর্তে, ঝাঁপিয়ে পড়ে মার্ক বা মন্টির মধ্যে কেউ একজন। পরপর কয়েকটা থাবা। ঘটনার আকস্মিকতায় থম মেরে যান মহিলা। বেগতিক বুঝে, মরার ভান করে পড়ে থাকেন। ফিনকি দিয়ে বেরোনো রক্তে চুপচুপে। ভাগ্য ভালো, সাফারি পার্কের কর্মীরা ঠিক সময়ে চলে আসেন। তাই এ যাত্রায় রক্ষে।
আর আর্চিবল্ড ডি’মেলো, মানে ভায়োলেটের স্বামী তখন বেশ অপ্রস্তুত, ‘আমি ঠিক বুঝতে পারিনি আসলে কী ঘটতে যাচ্ছিল।’ বুঝেছেন, ছবি তোলার নেশায় যে ভুলটা করে বসেছিলেন, তার জন্য বাকি জীবন আফশোসের শেষ থাকত না। অপরাধী হয়ে থাকতে হতো। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে ভায়োলেট বললেন, ‘জানতাম, পশুরা মৃতদের ছোঁয় না। তাই মরার ভান করছিলাম।
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/2015
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur