বানরের বাঁদরামি দেখে অনেকে আনন্দ পান। তবে মাঝে মধ্যে বানরের বাঁদরামি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তা সহ্যের সব সীমা অতিক্রম করে। বিশেষ করে বানর উপদ্রুত এলাকার মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পায় বানরের যন্ত্রণা।
লড়াই করার শক্তি নেই। তবে বাঁচার কৌশল আছে। বাঘ দেখলেই দৌড়ে গাছে ওঠে পড়ে বানর। গাছে ওঠে কিন্তু বসে থাকে না: ভেংচিও কাটে। তবে এবার ঘটেছে অন্যটা। বাঘের গর্জনে কেল্লা ফতে। জঙ্গলে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে ১২টি বানর। ভারতের এক বনে ঘটেছে এ ঘটনা।
বাঘের গর্জনে হার্ট অ্যাটাক করেছে ১২টি বানরপশু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঘের গর্জনেই বানরগুলোর মৃত্যু হয়েছে। সর্বপ্রথম বন বিভাগের স্থানীয় পরিচ্ছন্নকর্মীরা বানরের গণমৃত্যুর বিষয়টি দেখতে পায় এবং তারা বানরের এ ধরনের গণমৃত্যু দেখে বিস্মিত হয়ে যান।
সন্দেহ করা হয়েছিল বানরগুলো বিষাক্ত কিছু খেয়ে মারা গেছে। কিন্তু পরে ময়নাতদন্তে দেখা গেছে বানরগুলো একই সময়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের কোতয়ালির মোহম্মদী এলাকার এক পশু হাসপাতালে বানরের এ ময়নাতদন্ত করা হয়।
পশু চিকিৎসক ডা. সঞ্জীব কুমার বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দেখা গেছে- বানরগুলো হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। তার ধারণা, বাঘের গর্জনে বানরগুলোর মৃত্যু হয়েছে। কেননা প্রায়ই এ অঞ্চলে বাঘের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, বন বিভাগের কর্মীরা বানরগুলোকে একটি পলিথিন ব্যাগে ঠাসাঠাসি করে ভরে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসীরা বলছেন, প্রায়ই এ অঞ্চলে বাঘ আসে এবং গর্জন করে। পরে তারা মৃত বানর দেখতে পান।
হার্ট অ্যাটাকে বানরের এ গণমৃত্যু নিয়ে বন্যপশু বিশেষজ্ঞরাও একটি তদন্ত করেছে এবং তারা বলছে- বানরগুলো সম্ভবত কোনো একটি সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া পশু চিকিৎসক ডা. বিজেন্দ্র সিংয়ের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বানরগুলো বন্যপ্রাণী। এরা জঙ্গলে থাকতে অভ্যস্ত। তাই বাঘের গর্জনে বানরের মৃত্যু হয়েছে এমনটি মনে হচ্ছে না। আমদের মতে- বানরগুলো কোনো একটি সংক্রামক রোগে ভুগছিল এবং এ কারণেই হয়তো একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০ : ৩৩ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বুধবার
এইউ