চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩নং হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আঃ ছাত্তার রাঢ়ীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে একাধিক ওয়ার্ড মেম্বার অনাস্থা দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম চ্যাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওই ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের ৯ ও সংরক্ষিত ৩ নারী মেম্বার চেয়ারম্যান ছত্তার রাঢ়ীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও টাকা আত্নসাৎজনিত কারণ দেখিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
স্বারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী মেম্বার হলেন, ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাশার দর্জি, ২ নং ওয়ার্ডের আবুল খায়ের, ৩ নং ওয়ার্ডের হারুন খান, রাশিদা বেগম, ৪ নং ওয়ার্ডের হালিম বেপারী, ৫ নং ওয়ার্ডের দেলু বেপারী, ৬ নং ওয়ার্ডের বারেক তারুকদার, শামীমা বেগম, ৭ নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম চকিদার, ৮ নং ওয়ার্ডের অলু মিজি, কাদির মেম্বার ও খুশিদা বেগমসহ এই
স্মারককলিপিতে চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, তা হলো সরকারী ২০ বান্ডিল টিন দিয়ে সাধারন জনগেরর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নেয়া, এলজিএসপি বরাদ্ধ হতে ৪০ ভাগ টাকা মিথ্যা খরচ দেখিয়ে আত্নসাৎ করা।
এডিবি ও উপজেলা উন্নয়ন খাতের দেওয়া ১৩টি গভীর নলকুপ দেওয়ার নামে গ্রাহকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়া, উপজেলা থেকে দেওয়া ৯ বান্ডিল টিন বাবদ ৩ হাজার টাকা নেয়া, কাবিটা ও টা আর এর বরাদ্ধ ২৫ ভাগ টাকা মিথ্যা খরচ দেখিয়ে আত্নসাত। হতদরিদ্রদের ঘর দেওয়ার নামে ১০০ জনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে উত্তোলন করা। জেলেদের কার্ড বিতরনের নামে ৬১২ জনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে উত্তোলন করা।
২০১৬-২০১৭অর্থ বছরে সলেমান রাঢ়ী বাড়ির কাঠের পুল মেরামতের নামে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সেই পুল মেরামত দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা নেয়া। হতদরিদ্রে কর্মসূচীর কার্যক্রমে প্রশাসনের নামে প্রতি শ্রমিক হতে ১০০ টাকা করে নেয়া। বিজিডি কার্ড দেওয়ার সময় প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নেয়য়া। জেলেদের জাটকার চাল ৪০ কেজি না দিয়ে ২৬/২৭ কেজি করে দেয়া। চাল কম দেওয়ার কারনে তারা অভিযোগ করলে চেয়াম্যান তার বাহীনি দিয়ে জেলেদের মারধর করা ।
কোন প্রকার মিটিং ছাড়া চেয়াম্যান নিজে যে কোন বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নেয়া।
২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে জেলেদের চাল বিতরণের পূর্বে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে রাতের অন্ধকারে কিছু চাল অনত্রে বিক্রী করাসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
১৩নং হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আঃ ছাত্তার রাড়ীর বিরুদ্ধে এই সকল অভিযোগ এনে এলাকাবাসির পক্ষে ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম বাদি হয়ে অভিযোগপত্রটি সকল মেম্বারের সমন্বয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার রাঢ়ীর মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘মেম্বাররা সেযব অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা আমাকে হেয়পতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে তা করেছি। তবে সকল মেম্বাররা এমন অনাস্থা দেয়নি। হাতে গনা ৪/৫ জন মেম্বার পরিকল্পিত ভাবে তা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, কারা যেহেতু অভিযোগ দিয়েছে তার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ যাচাই করে তার ব্যবস্থা নিবেন।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি