চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮ নং বাগাদী ইউনিয়নে দোকানের বাকি টাকা চাওয়ায় দুদফা বাড়িঘর ও দুটি দোকানে হামলা, লুটপাট এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
১২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে এবং রাতে বাগাদী দীঘির পাড় নিজ গাছতলা গাজী বাড়িতে এ হামলা ও লুট পাটের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের নারী পুরুষ ও শিশু সহ ৮জন গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমন হামলা ও লুটপাটের ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে হামলাকারী সেখান থেকে চলে যান।
আহতরা হলেন, ওই বাড়ীর মৃত আব্দুল খালেক গাজীর স্ত্রী সখিনা বেগম (৭০), তার তিন ছেলে মোহাম্মদ আলী গাজী (৫০) আব্দুল আজিজ (৪২), আব্দুল ওহাব (৩২), মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী পারুল বেগম (৪৫), তাদের সন্তান ইতি আক্তার (২১), আবু সুফিয়ান (২০),মিমি আক্তার (১৬)
আব্দুল আজিজের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩২), আব্দুল ওয়াহাবের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৬)। এদের কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিলেও গুরুতর আহত কয়েকজন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা জানান, মোহাম্মদ আলী গাজী ও তার ছোট ভাই ওহাব গাজী বাগাদী দিঘীরপাড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ফার্নিচারের দোকান ও মুদি দোকানদারি করে আসছেন। তাদের দোকানে থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার গাজী বাড়ির হাসমত গাজীর ছেলে কাজলগাজী বাকিতে সদাই নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে গেল সেই বাকি টাকা না দেওয়ায় প্রায় সময় কাজল গাজীকে টাকা দেওয়ার জন্য তাগিদ দেন মোহাম্মদ আলী গাজী।
এরই সূত্র ধরে ঘটনার দিন দুপুরে কাজল গাজী মোহাম্মদ আলী গাজীর ছোট ভাইয়ের সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে তাকে মারধর করেন। এ সময় ছোট ভাইকে ছাড়াতে গেলে কাজল গাজী মোহাম্মদ আলী গাজী ও তার ভাই আব্দুল আজিজ গাজী কেউ মারধর করেন।
পরে তারা আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। তারই সূত্র ধরে রাতের অন্ধকারে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাসমত গাজীর ছেলে কাজল গাজী, নুরু গাজী, রুহুল আমিন গাজী, এবং তাদের তিন ভাইয়ের ছেলে ইকন গাজী নয়ন গাজী, তাদের স্বজন ফজল গাজীর ছেলে মিলন গাজীসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন মিলে তাদের দোকানে এবং বাড়ি ঘরে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
এ সময় তারা তাদের মালামাল রক্ষা করতে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং চাইনিজ কুড়াল, ছেনা, রড সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। তাদের অতর্কিত হামলায় ভুক্তভোগী পরিবারের বৃদ্ধা নারী, পুরুষ, শিশুরা রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন।
পরে বাড়ির লোকজন তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
এমন অতর্কিত হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঐদিন রাতেই চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মকবুল হোসেন সাঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ বিষয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ছাত্র-মোটল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্তদের কাছে বক্তব্য নিতে চাইলে তাদের ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১৩ অক্টোবর ২০২২