চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাগাদী গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিষ্ঠুরতায় ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় বন্ধ হওয়া পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জেএসসির বাংলা প্রথম পত্র মডেল টেস্ট চলছিলো।
ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী স্কুলে এসে হামলা চালালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরার বিদ্যালয়ের ভেতরে অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে। এসময় অনেক ছাত্রীরা ভয়ে চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে।
গত রোববার (২৮ আগস্ট) বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার শিক্ষকদের ধায্য করা ২শ’ ৮০ টাকা থেকে ২০ টাকা কম দেয়ায় শিক্ষকরা তাকেসহ আরো ক’ছাত্রীকে ‘রোদে দাঁড় করিয়ে’ শাস্তি প্রদান করে এবং ‘অশ্লীল ভাষা’ ব্যাবহার করে।
পরদিন সাথী আক্তার পরীক্ষা দিতে বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষকরা তাকে বের করে দেন। পরে সাথী আক্তার বাড়িতে গিয়ে টাকার জন্য তার মায়ের সাথে কান্নাকাটি করে। তার মা টাকার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গেলে এ সুযোগে সাথী আক্তার শিক্ষকদের অকথ্য ভাষা প্রয়োগ ও শাস্তির কথা চিন্তা করে অপমান সইতে না পেরে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানিয়েছে সাথির মা।
এ খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ে ঘিরে ফেলে এবং ভাংচুর চালায়। ভাংচুরের সময় বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় তারা সুযোগ বুঝে পরীক্ষা অসমাপ্ত করে বিদ্যালয় থেকে চলে যায়। একই সাথে শিক্ষকরা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য গা ঢাকা দেয়।
তাই পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা সম্পন্ন করতে না পারায় তাদেরকে অনেক কে কান্নাকাটি এবং ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
তাই বাগাদী গণি উচ্চ বিদ্যালয় কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেএসসির বাংলা প্রথম পত্রের মডেল টেস্ট পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন…চাঁদপুর বাগাদী স্কুলে ২০ টাকা পরীক্ষার ফি কম দেয়ায়…
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০০ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ