চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড এলাকায় ড্রেনেজে পড়ে এক বাক প্রতিবন্ধি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ড্রেনে পড়ে আহত সে এখন মৃত্যুর প্রহন গুনছে সে।
গত ২৩ নভেম্বর মাদ্রাসা রোডে পৌরসভা কর্তৃক ড্রেনের আবর্জনা পরিস্কার করার জন্য ড্রেনেজ ঢাকনা খোলা রাখা হয়। এতে রাত হলে ড্রেনেজ ঢাকনাটি খোলা রয়েছে কিনা তা বুঝা খুবই কষ্টকর। ওই দিন নাজিরপাড়ার দেওয়ান বাড়ির মৃত জয়নাল হোসেন সর্দারের ছেলে বাকপ্রতিবন্ধি মো. মনির সর্দার (৪৫) বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডে রাতের বেলা কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ড্রেনের মধ্যে পড়ে যায়।
এতে করে প্রতিবন্ধি মনিরের পুরো শরীর ড্রেনের ময়লা কাঁদায় আটকে পড়ে। সে বাক প্রতিবিন্ধ হওয়ায় ডাক-চিৎকার করতে না পারায়, প্রায় অনেকক্ষণ সেখানে আটকে পড়ে।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধি মনিরকে দেখতে পায়। পরে এলাকার লোজকন তাকে দ্রæত উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আংশকা জনক দেখে কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করে। প্রতিবন্ধি মনির কুমিল্লায় দু’একদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর, তার অবস্থা আরো খারাপ হওয়া সেখানকার চিকিৎক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে ঢাকার মেডিক্যাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানায়, বাক প্রতিবন্ধি মনির ড্রেনে পড়ে তার মাথায়, ঘাড় ও কোমরে প্রচন্ড আঘাত পায়। দীর্ঘক্ষণ ময়লার কাদার ভিতর থাকায় তার পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
ঢাকায় এই রোগের কোন চিকিৎসা দিতে না পারায় মনিরের অবস্থান এখন তার বাড়িতে অবস্থান করে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
মনিরের পরিবারের লোকজন জানান, মনিরের এই অবস্থার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ দায়ী। তাদের লোকজন রাস্তার ড্রেনেজের যে ভাবে কাজ করেছে, তা যে কোন মানুষ পড়ে দুর্ঘটনা কবলিত হবে। তারা দিনের বেলা কাজ করে ড্রেনেজের ঢাকনা না লাগিয়ে খোলা রাখায় মনিরের এ করুণ পরিণতি হলো। পরিবারের পক্ষে মনিরের চিকিৎসা বহন করা কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।
চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষ যদি প্রতিবন্ধি মনিরের চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসে হয়তো মনির সুস্থতায় ফিরে আসবে।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:১০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ